বন্ধ কারখানা খোলার দাবি, শ্রমিকদের সঙ্গে ধর্নায় খোদ বিধায়ক

সম্প্রতি কারখানার যন্ত্রপাতি ও অন্য সামগ্রী অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মালিকপক্ষ।

সম্প্রতি কারখানার যন্ত্রপাতি ও অন্য সামগ্রী অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মালিকপক্ষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Tmc Mla Manoranjan Bapari sit in Dharna by demanding restart of kuntighat Keshoram Rayon Cygnet Industries Ltd

শ্রমিকদের সঙ্গে ধর্নায় বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি। ছবি: উত্তম দত্ত

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা হুগলির কুন্তিঘাট কেশোরাম রেয়ন খোলার দাবিতে এবার ধর্নায় তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি। শুক্রবার শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে কারখানার গেটের সামনে ধর্নায় বসেন বলাগড়ের বিধায়ক। 'এতদিন শান্তিপূর্ণভাবে বক্তব্য রেখেছিলাম। এবার মালিকপক্ষ যে ভাষা বোঝেন, সেই ভাষাতেই তাঁদের জবাব দেওয়া হবে', এদিন এমনই হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের।

Advertisment

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে হুগলির কুন্তিঘাট কেশোরাম রেয়ন কারখানা। সম্প্রতি কারখানার যন্ত্রপাতি ও অন্য সামগ্রী অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে মালিকপক্ষ। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার সকাল থেকে কারখানার গেটে জড়ো হন শ্রমিকরা। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে এই কারখানার প্রায় চার হাজার কর্মী রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধের জেরে আর্থিকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত বহু শ্রমিক পরিবার। ফের খুলবে কারখানা, এতদিন এই আশাতেই ছিলেন শ্রমিকরা।

তবে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এবার কারখানার যন্ত্র-সামগ্রী অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার বহু শ্রমিক কারখানার গেটে জড়ো হন। রাস্তায় বসেই চলে ধর্না। শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারিও। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন তিনিও। এর আগেও একাধিকবার কারখানা চালু নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষের। তবে বারবার সেই বৈঠক নিষ্ফলা থেকেছে।কারখানা পাকাপাকিভাবে বন্ধের চক্রান্ত করছে মালিকপক্ষ, এমনই অভিযোগ কর্মহীন শ্রমিকদের।

আরও পড়ুন- শতাব্দীপ্রাচীন রীতি আজও অটুট, বনকালীর পুজো ঘিরে উন্মাদনা

Advertisment

এদিন ধর্নায় সামিল তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি বলেন, 'শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই কারখানার সামগ্রী অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করছে মালিকপক্ষ। ৪৮-৫৮ বছর বয়সীদের ছাঁটাইয়ের কথা বলছে মালিকপক্ষ। চিরতরে কারখানা বন্ধের ছক। শ্রমিক ঐক্য ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। ওদের ষড়যন্ত্র ধরে ফেলেছি। কারখানার কোনও মাল বাইরে যেতে দেব না। সমাধান সূত্র বের করতে উদগ্রীব শ্রমিকরা। তিন ভাগের দু'ভাগ শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের চেষ্টা। মালিকরা তাঁদের সিদ্ধান্ত থেকে সরছেন না। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাষায় এতদিন কথা বলছি। এবার যে ভাষায় বললে ওঁরা বুঝবেন, সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

protest Manoranjan Byapari MLA Hooghly tmc