কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের ঘটনায় রানাঘাট আদালতে সিআইডি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছে। তাতে নাম রয়েছে নদিয়ার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। শাসক দলের বিধায়ক খুনের ঘটনার জগন্নাথ সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের আগে জগন্নাথ সরকার বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছিলেন।
তৃণমূল বিধায়ক খুনের ঘটনার বিজেপি নেতা মুকুল রায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এই ঘটনাকে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' বলে দাবি করেছেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেছেন, 'ভোট যত এদিয়ে আসছে রাজ্য সরকার ততই বিজেপি নেতা, কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আমি যতদূর জানি বিধায়কের সঙ্গে অভিযুক্ত ফোনে এক-দু'বার কথা বলেছিলেন। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তকে জগন্নাথ সরকার আশ্রয় দিয়েছিলেন- এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আবার প্রমাণ হল তৃণমূল সরকার দলীয় স্বার্থে পুলিশ ও আইনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু এভাবে মিথ্যা মামলা, অভিযোগ করে রানাঘাটে বিজেপিকে রোখা যাবে না।'
২০১৯ সালে ৯ ফেব্রুয়ারির সরস্বতী পুজোর দিন রাতে ফুলবাড়ি এলাকায় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে প্রথম বিধায়ক হিসেবে খুন হন সত্যজিৎ বিশ্বাস। এই ঘটনায় হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত বছরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এফআইআর-এ প্রাথমিকভাবে পাঁচ জনের নাম ছিল। পরে বিধায়কের পরিবারের তরফে মুকুল রায়, জগন্নাথ সরকার সহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই বিধায়ককে খুন করা হয়েছে বলে সেই সময় দাবি করেছিল বিজেপি। পরে ঘটনার তদন্তবার দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডি-র দাবি, সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের আগে এবং পরে অভিযুক্ত অভিজিৎ কুন্ডারি ও নির্মল ঘোষকে বেশ কয়েকবার ফোন করেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁদের কথাও হয়। সেই তথ্যপ্রমাণ ও কল ডিটেইলস সিআইডি–র হাতে রয়েছে বলে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন