রাজনীতি থেকেই সরে যেতে চান তিনি। একথা দলকে নাকি আগে জানিয়েও ছিলেন। তবে এবার পাকাপাকিভাবেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে চান তাপস রায়। ''সময় এলেই দলকে জানাব। আমায় ধরে রাখা কঠিন।'' রবিবার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-য় একথা বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের বরাহনগরের বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায়কে।
দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবেই কাজ করে গিয়েছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা তাপস রায় একটা সময় ছাত্র পরিষদের সভাপতিও ছিলেন। কংগ্রেসে সোমেন মিত্রের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাপস রায়। পরে কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হন তাপস। ২০১১ সালে তাপস রায়েকে টিকিটি দেয় তৃণমূল। তারপর থেকে পরপর তিনবারের বিধায়ক তিনি। ২০১৯ সালে রাজ্য মন্ত্রিসভাতেও জায়গা পেয়েছেন তাপস রায়। যদি একুশের ভোটের পরে অবশ্য তাপস রায়কে আর মন্ত্রী করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার বরাহনগরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তাপস রায়। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-য় রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করতে শোনা গিয়েছে তাপস রায়কে। তিনি বলেন, ''সব কিছু শেষ করার একটা সময় থাকে। আমাকেও শেষ করতে হবে। আমাকে ধরে রাখা কঠিন। সময় হলেই দলকে রাজনীতি ছাড়ার কথা জানিয়ে দেব।''
তাপস রায়ের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তাঁর মতো বর্ষীয়ান এক নেতা দলের এই সময়ে সরে যাওয়ার কথা জানানোয় স্বভাবতই তৃণমূলের অন্দরেও অস্বস্তি বেড়েছে।
আরও পড়ুন- ফের বদল আবহাওয়ায়, আজ ভারী বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবে একাধিক জেলা
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তাঁকে মন্ত্রী করা হলেও একুশের ভোটের পর আর তাপস রায়কে মন্ত্রিসভায় রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে তাপস রায়ের ফের মন্ত্রী হওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার তাঁকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে পারেন বলে গুঞ্জন তুঙ্গে উঠেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি পদে রয়েছেন তাপস রায়। এছাড়াও বিধানসভায় উপ মুখ্য সচেতকের পদেও রয়েছেন তিনি।