নিজাম প্যালেসে নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। এর আগে তাপস সাহার তেহট্টের বাড়ি, কার্যালয়ে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের এই বিধায়কও জড়িত বলে সন্দেহ সিবিআইয়ের। সেই মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে কলকাতার নিজাম প্যালেসের দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তলব পেয়েই হাজিরা জোড়াফুলের বিধায়কের।
এর আগে গত সপ্তাহে ইদের আগের দিন তাপস সাহার তেহট্টের বাড়ি, কার্যালয়ে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তাপসকে সঙ্গে নিয়ে বেতাই কলেজে গিয়েও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। শুধু তাপস সাহাই নন, তেহট্টে তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল ও ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতেও চলে চল্লাশি। গত শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ঢোকে সিবিআই। একটানা তল্লাশি চালিয়ে পরের দিন সকালে তাপস সাহার বাড়ি ছাড়েন তদন্তকারীরা। দফায়-দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘অহঙ্কার নেই, আমরা ক্ষমতা থেকেও রাস্তায় নামছি’, নব-জোয়ারের সভায় কীসের বার্তা অভিষেকের?
যদিও গত শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই। বরং সিবিআই বাড়ি ছাড়ার পর তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেন, তাঁর বাড়ি থেকে কিছুই পায়নি সিবিাই। সিবিআই আধিকারিকরা নাকি তাঁকে জানিয়েছেন তিনি রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে তাপস সাহার দাবির সাপেক্ষে কিছু জানানো হয়নি।
তাপস সাহার বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। এমনকী তাঁর বাড়ির পাশের পুকুর থেকেও উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি। বিধায়কের দুটি মোবাইল ফোনও বর্তমানে সিবিআই জিম্মায়। তাপস সাহাকে নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই। সেই তলব পেয়েই এদিন হাজিরা দিতে কলকাতায় বিধায়ক।