জেলায় জেলায় ব্লক সভাপতি নিয়োগ ঘিরে এবার অস্বস্তি শাসক শিবিরে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক এবার ব্লক সভাপতিকে নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানালেন। ব্লক সভাপতিকে না সরানো হলে তিনি দলও ছেড়ে দেবেন বলে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিধায়ক।
মঙ্গলবারই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরি। রাজ্যের প্রাক্তন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সরাসরি দলের ব্লক সভাপতিকে সন্ত্রাসবাদী বলে আক্রমণ করেছেন। তাঁর অভিযোগ ঘিরে শাসকদলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
কী বলেছেন আবদুল করিম চৌধুরি?
প্রাক্তন মন্ত্রী বলেছেন, "আই অ্যাম দ্য ফাউন্ডার মেম্বার অফ দ্য পার্টি।আজকে আমাকে সরিয়ে দিচ্ছেন এভাবে? আমার এলাকাটাকে আমার হাত থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছেন? আমি বলেছিলাম, এই সন্ত্রাসবাদীটাকে নেতা করবেন না মমতাদি। একটা সন্ত্রাসবাদীকে এখানে রাখবেন না। আমি সন্ত্রাস করে ইলেকশন করি না।"
প্রসঙ্গত, আবদুল করিম চৌধুরির মন্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলে। বিধায়কের দাবি, "সব জায়গায় গিয়েছি আপনার সঙ্গে। আপনার জোর পার্টিটার মধ্যে, ওই রকম হক আমারও আছে। আমারও পার্টির উপর অধিকার আছে। এই অধিকার আমারও আছে মমতাদি। যে রকম আপনি অধিকার রেখেছেন।"
আরও পড়ুন মমতার কায়দায় শুভেন্দু! সম্বল ‘হাতিয়ার’ রাজনীতি, গিমিক?
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে আবদুল করিমের তোপ, "আজ পর্যন্ত ১১ বার জিতেছি। টাকা-পয়সা দিয়ে ভোট কিনিনি। আমি হিংসার মধ্যে যাইনি। বুথ ক্যাপচার করিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এটাই অনুরোধ থাকবে, যে আমি এমএলএ, আর আমার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আলাদা লোক দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন, এটা আমি মানব না। যদি আপনি বলবেন যে করিমদা আপনি রিজাইন দিন, আমি রিজাইন দিয়ে দেব।"
জানা গিয়েছে, যাঁকে নিয়ে করিমের আপত্তি সেই ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের অনুগামী বলে পরিচিত। জাকির হোসেন বলেছেন, "বিগত দিনে দলের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী হিসাবে কাজ করেছি। ব্লক সভাপতি হিসাবে কোনও বিধায়কের সমালোচনা করতে চাই না। যদি কোনও সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এরকম কিছু বলে থাকেন, সেটা দল দেখে বিচার করবে।"