একুশের ভোটেও কি খালি হাতে ফেরাবে মালদা? দিন কয়েক আগে জেলায় গিয়ে জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী আবদার করেছিলেন, এবার কিন্তু মালাদর ফজলি আম চাই? মালদাবাসী সে আবদার কতটা রাখবেন তা পরের বিষয়ে। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পিছু ছাড়ছে না শাসকদলের। জেলা নেতৃত্বকে বোঝানোই সার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারিকে তোয়াক্কাই করছেন না মালদার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সোমবার রাতে ইংরেজবাজারের তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষের বাড়ি ভাঙচুর করা হল। কাঠগড়ায় দলেরই একাংশ।
Advertisment
অভিযোগের তির জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরির দিকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে জেতেন নীহারবাবু। পরে যোগ দেন তৃণমূলে। কিন্তু তিনি দলে যোগ দেওয়ার পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। কিছুদিন আগে মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চেও ছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ এবং জেলা যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস দুষ্কৃতীদের দিয়ে রাতে এই হামলা করিয়েছেন। তাঁকে প্রাণে মারার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, নীহারবাবুর পিতৃবিয়োগ হয়েছে কয়েকদিন আগে। বাড়িতে বাবার শ্রাদ্ধের প্রস্তুতি চলছিল এদিন। বাড়ির নিচে অফিসে বসে কাজ করছিলেন কয়েকজন অনুগামী। সেইসময় হয় হামলা। বাড়ির দোতলায় উঠে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। তখন প্রাণে বাঁচতে স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে একটি ঘরে লুকিয়ে পড়েন বিধায়ক। খবর পয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এই নিয়ে জেলা তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ভোট এগিয়ে আসতেই জেলায় জেলায় প্রকট হচ্ছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মালদা বরাবরই অধরা মাধুরী তৃণমূল নেত্রীর কাছে। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটেও ঝুলি খালি ছিল এই জেলায়। পরে সিপিএমের দীপালি বিশ্বাস, কংগ্রেসের সাবিনা ইয়াসমিন ও নির্দল নীহার ঘোষরা তৃণমূলে শামিল হন। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের রোগ সারেনি মালদায়। আগে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ বনাম সাবিত্রী মিত্রর ঝামেলায় উত্তপ্ত থাকত, এখন চরিত্র বদল হলেও চিত্র একই আছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন