কয়লাকাণ্ডে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছে যান অভিষেক। এর আগেও দু'দফায় তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তবে ওই দু'বারই দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তৃণমূল নেতাকে। এবার তাঁকে কলকাতার দফতরেই তলব করেছিল ইডি।
Advertisment
এর আগে ইডির তলবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলে তাঁকে ও তাঁর দলকে হেনস্থা করতেই বারবার ইডি তাঁকে তলব করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বেলা ১১টায় তাঁকে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে তলব করেছিল ইডি। তবে এদিন ১১টার কিছু আগেই সিজিও-য় পৌঁছে যান তৃণমূল নেতা। অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লির সদর দফতর থেকে ইডি-র পাঁচ শীর্ষ আধিকারিক আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন কলকাতায়। তাঁরাই কয়লাকাণ্ডে বিপুল অঙ্কের লেনদেন নিয়ে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে সূত্রের দাবি। রীতিমতো প্রশ্নমালা সাজিয়ে তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির।
গত বছরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। পরে রুজিরাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরেও। সন্তান কোলে সিজিও-য় গিয়ে তদন্তকারী অফিসারদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন রুজিরা।
দিন কয়েক আগেই টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইডি বা সিবিআই তলবের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরা সভায় অভিষেককে বলতে শোনা গিয়েছিল, সভার চার-পাঁচদিনের মধ্যে কিছু একটা ঘটতে পারে। তাঁদের দলের কাউকে ডেকে পাঠাতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন অভিষেক। চলতি সপ্তাহের সোমবার সেই সভার পর মঙ্গলবারই জানা গিয়েছে ইডির তলবি চিঠি পেয়েছিলেন অভিষেক।