কেন্দ্রীয় 'বঞ্চনা'র বিরুদ্ধে সোমবার দুপুরে রাজঘাটের সামনে ধর্নায় বসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের অন্যান্য সাংসদ, মন্ত্রী ও নেতারা। প্রত্যেকেরই পরনে সাদা পোশাক, হাতে বাংলার প্রাপ্যের দাবি জানিয়ে প্ল্যাকার্ড, বাহুতে কালো রিবন। উল্লেখ্যযোগ্য, এদিন এই ধর্নায় অভিষেকের পাশেই বসতে দেখা গিয়েছে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই কল্যাণবাবুই একদা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্ব নিয়ে এক সময়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যা নিয়ে জোড়-ফুলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি অন্য মাত্রা পেয়েছিল।
Advertisment
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড-হারবার মডেল ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমি আর কাউকে নেতা মানতে রাজি নই। অভিষেকের নেতৃত্ব প্রমাণিত হয়নি। অভিষেক একজন পদাধিকারী। নেতা মমতাই। ত্রিপুরা, গোয়া জিতিয়ে দাও, মুখ্যমন্ত্রী করে দাও, তবে অভিষেককে নেতা বলে মেনে নেব।'
এরপরই অভিষেক বিরোধী মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন কুণাল ঘোষ সহ তৃণমূলের যুব বাহিনীর নেতৃত্বরা। যা হাতিয়ার করে ঘাস-ফুলের নেতৃত্বে মমতা বনাম অভিষেক দ্বন্দ্ব উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। শুরু হয় নানা রাজনৈতিক জল্পনা। এই বিবাদ সেই সময় সম্পূর্ণ নিরসন করতে পারেননি তৃণমূলের তৎকালীন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।
পরে কল্যাণের দাবির পাল্টা অভিষেক বলেছিলেন, ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ওনার নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। তাঁকে ছাড়া উনি কাউকে মানেন না। আমিও তো তাই বলছি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলছেন ঠিক বলছেন। এতে অসুবিধার কী আছে?’ পুরোটাই তৃণমূলে দলীয় গণতন্ত্রের উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এসবের পরও কল্যাণ-অভিষেক দ্বন্দ্বে যবনিকা পড়েনি। উভয়েই দু'জনের সঙ্গে তেমন বাক্যালাভ করতেন না। কিন্তু, এদিন দেখা গেল কেদ্ন্দ বিরোধী ধর্নায় দিল্লির বুকে পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার ও শ্রীরামপুরের সাংসদ।