সোমবারই তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আবার পাল্টা শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, 'দম থাকলে আমায় আউট করে দেখা।' এরই মধ্যে এবার শাসকদলের সেই নেত্রী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। নারদ মামলায় এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
তৃণমূল সাংসদকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হতে পারে। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে নারদ স্টিং অপারেশনে ক্যামেরায় ধরা পড়ে অপরূপা পোদ্দার ঘুষ নিচ্ছেন। শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের সঙ্গে তাঁকেও দেখা যায় টাকা নিতে। সেই অপারেশনে বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। শাসকদল তৃণমূল বর্তমানে বার বার সরব হয় কেন নারদ মামলায় এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিবিআই।
আরও পড়ুন ‘আমি বিজেপিরই বিধায়ক, শুভ্রাংশুরও বিজেপি করলেই ভালো’, ফের ১৮০ ডিগ্রি ‘পাল্টি’ মুকুলের
নারদ কাণ্ডে কেটে গিয়েছে সাত বছর। তবে সিবিআই তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। বরং তদন্ত ধীরগতিতে চলছে। মঙ্গলবার নারদ মামলায় এফআইআর থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন অপরূপা। সেই মামলার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু টুইট করে দাবি করেছেন, আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের, রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি এবং বর্ধমান উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথকুমার মালিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত। চারটি টুইটে শুভেন্দুর দাবি, চিঠি পাঠিয়ে নির্দিষ্ট চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা দিয়ে চাকরির সুপারিশ করেছেন তাঁরা। এঁদের অখিল গিরি এবং নিশীথকুমার মুখ না খুললেও অপরূপা এবং আবু তাহের পাল্টা আক্রমণ করেছেন শুভেন্দুকে।
অপরূপা সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দুকে। বলেছেন, ‘দম থাকলে টুইট করা কাগজ মিডিয়ার সামনে নিয়ে আয়। আমায় আউট করে দেখা।’