ওকের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে চোর অপবাদ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করছেন দলনেত্রী। সেখানে বিপদের দিনে দলের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন সাংসদ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের দুর্নীতি ইস্যুতে মন্তব্য ঘিরে দলের মধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার নিয়ে জহরের মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়।
কী বলেছেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় আমলা?
জহর সরকার বলেছেন, এমন দৃশ্য টিভিতেও কম দেখা যায়। দুর্নীতির টাকা দিয়ে এভাবে অলঙ্কৃত করা দেখলে গা শিরশির করে। পরিবার, বন্ধুদের থেকেও টিপ্পনী শুনতে হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন ফিরহাদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রবল আশঙ্কা মমতার, কী বললেন?
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং বহুমূল্য সোনাদানা, গয়না পেয়েছে ইডি। এই প্রেক্ষাপটে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তৃণমুল সাংসদ জহর সরকার বলেছেন, "যখন টিভিতে দেখলাম বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরোতে পারে! কল্পনার অতীত। বাড়ির লোক সঙ্গে সঙ্গে বলল, রাজনীতি ছেড়ে দাও। সাংসদ পদ ছেড়ে দাও। এখুনি ছেড়ে দাও তো বাপু। বন্ধুরা টিপ্পনী কাটল। বলল, এখনও আছিস? কত পেয়েছিস? এমন লাঞ্ছনা জীবনে শুনতে হয়নি।"
আরও পড়ুন ‘আমরা সবাই চোর- ওরা সাধু’, মমতার প্রশ্নে বিজেপির জবাব ‘হ্যাঁ আপনারাই চোর’
তিনি আরও বলেছেন, "আমি বাইরে থেকে রাজনীতিতে এসেছি। একুশের ঢেউ দেখে এসেছি। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় শত্রু ফ্যাসিস্ট শক্তি বিজেপি। টাকরি জীবনেও দেখেছি, একটা অংশ চোর ছিল। সব পেশায় একটা শ্রেণি থাকে। যাঁরা ধাপ্পাবাজি করতে এসেছে। রাজনীতিতেও করছে। যেভাবে করল এবার, তা দৃষ্টিকটূ।"
আরও পড়ুন পার্থ কি আদৌ অর্পিতার মামা? বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন নায়িকার মা
জহর সরকার আরও জুড়েছেন, "রাজনীতির কায়দা আমি বুঝি না। আমার আবেদন থাকবে, যাঁরা ধরা পড়ছে, যাঁরা ধরা পড়তে পারে, তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। একুশের সময়ে বলেছিলাম, কাটমানির কথা। অনেকে ফেরত দিয়েছে। আমাদের সেই নীতি মানতেই হবে। রাজনীতির নামে টাকা বানাব। বান্ধবীর নামে ফ্ল্যাট কিনব, মানা যায় না। পার্থকে আমি চিনি। কিন্তু বিশ্বাস করতেই পারছি না। দুর্নীতির টাকা দিয়ে এভাবে এভাবে অলঙ্কৃত করা দেখলে গা শিরশির করে।"