ফের বিতর্কে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগেই সংসদ ভবন চত্বরে তাঁর মিমিক্রি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে নিয়ে তাঁর অঙ্গভঙ্গি তুমুল বিতর্ক তৈরি করেছিল। সেই বিতর্ক ইস্যুতে বলতে গিয়ে এবার মিমিক্রি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত তৃণমূলের এই দাপুটে সাংসদের। এমনকী ভরা মঞ্চে মোদীকে নিয়ে বেশ কিছু অঙ্গভঙ্গি করতেও দেখা গিয়েছে কল্যাণকে।
কী বলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
"আমি একটা মিমিক্রি করেছি। পরবর্তীকালে শুনছি সেই মিমিক্রি নাকি বিশাল ব্যাপার হয়ে গেছে। এটা খুব হলকা ব্যাপার। মিমিক্রি আমরা প্রথম দেখলাম? মিমিক্রি লোকসভার বাইরে অনেক দেখেছি। কিন্তু লোকসভার মধ্যে প্রথম মিমিক্রি যাঁর দেখেছি তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদী। উনি করেছেন আমরা সেদিন বসে বসে হেসেছি। আমরা ব্যাপারটা স্পোর্টিংলি নিয়েছি, কোনও কথা বলিনি। মিমিক্রি নতুন কিছু নয়, এটা একটা শিল্প। কৌতূক যদি কেউ না বোঝে তাহলে আমি অপারগ। কারও শিক্ষা-সাংস্কৃতিক মন না থাকলে আমি কী করতে পারি! একটা মিমিক্রির জন্য শুধু কেঁদেই যাচ্ছে।"
<আরও পড়ুন- সবচেয়ে বেশি রাজনীতি গীতাতেই, সবচেয়ে বড় পলিটিশিয়ান শ্রীকৃষ্ণ: দিলীপ ঘোষ>
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী সাংসদদের একাংশ সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধীমূর্তির কাছে ধর্না দিচ্ছিলেন। সেখানেই দেখা যায়, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে ভেঙাচ্ছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অঙ্গভঙ্গির ভিডিও রেকর্ড করছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
কল্যাণের অঙ্গভঙ্গি দেখে সেখানে উপস্থিত বিরোধী সাংসদরা হেসেছেন। গোটা ঘটনা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই কল্যাণের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় নিজে। উপররাষ্ট্রপতিকে ফোন করে ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এবার মিমিক্রি ইস্যুতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তুললেন কল্যাণ।