হাসপাতালের আইসিইউ-তে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। শারীরিক কষ্টে জর্জরিত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কষ্ট পাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সংসদের বাদল অধিবেশনের জন্য আপাতত তিনি অবশ্য দিল্লিতে। কী হয়েছে শ্রীরামপুরের সাংসদের? তাঁর যন্ত্রণা শারীরিক নয়, মানসিক। অনুশোচনা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে 'ডাকাবুকো' কল্যাণকে! কেন?
এক যুগেরও বেশি সময়ের আগে একটি ঘটনা ঘিরেই যত কাণ্ড। ২০১১ সালে তখন তৃণমূল সবে ক্ষমতায় এসেছে। সেই সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মূল কথাই ছিল, নন্দনে মহিলা পরিবেষ্টিত হয়ে বসে মদ্যপান করেন বুদ্ধবাবু। সাংসদের বেলাগাম মন্তব্যে বিতর্ক বাঁধে।
মাঝের এতগুলো বছরে বদলেছে ছবি। বুদ্ধবাবু এখন অসুস্থ। কল্যাণও আরও পরিণত। সেদিনের মন্তব্যের কথা মনে করলে এখন খারাপ লাগে কল্যাণের। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে বললেন নিজের অনুশোচনার কথা। বলেন, '২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমি বিধায়ক ছিলাম। তখন রাজনৈতিক ইস্যুতে অনেক বক্তব্য রেখেছি। উনিও শুনেছেন। ২০১১ সালে কোনও একটা মন্তব্য আমি করেছিলাম বুদ্ধবাবু সম্পর্কে, সেটা নিয়ে পরবর্তীকালে আমি বলেছিলামও, মন্তব্যটা না করলেই ভাল হত। যাই হোক যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। একজন রাজনীতিক হিসাবে বুদ্ধবাবুর একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তো রয়েছেই। রাজনৈতিক অনেকরকম বিরোধিতা ছিল। রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবেই। তবে সার্বিকভাবে উনি সৎ ও ভাল মানুষ। উনি অসুস্থ, ওঁর সুস্থতা কামনা করি। যেদিন থেকে অসুস্থ হয়ে রাজনীতি থেকে সরে গেলেন আমার মনে হয়েছিল ওঁর সুস্থ থাকাটা দরকার। বাংলার রাজনীতির জন্য দরকার।'
আরও পড়ুন- রাতে দেওয়া হল ফিজিওথেরাপি, এখন কেমন আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?
কলকাতায় অসুস্থ বুদ্ধদেব, দিল্লিতে অনুশোচনায় ক্ষত-বিক্ষত তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ!
এক যুগেরও বেশি সময়ের আগে একটি ঘটনা ঘিরেই যত কাণ্ড।
এক যুগেরও বেশি সময়ের আগে একটি ঘটনা ঘিরেই যত কাণ্ড।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
হাসপাতালের আইসিইউ-তে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। শারীরিক কষ্টে জর্জরিত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কষ্ট পাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সংসদের বাদল অধিবেশনের জন্য আপাতত তিনি অবশ্য দিল্লিতে। কী হয়েছে শ্রীরামপুরের সাংসদের? তাঁর যন্ত্রণা শারীরিক নয়, মানসিক। অনুশোচনা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে 'ডাকাবুকো' কল্যাণকে! কেন?
এক যুগেরও বেশি সময়ের আগে একটি ঘটনা ঘিরেই যত কাণ্ড। ২০১১ সালে তখন তৃণমূল সবে ক্ষমতায় এসেছে। সেই সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মূল কথাই ছিল, নন্দনে মহিলা পরিবেষ্টিত হয়ে বসে মদ্যপান করেন বুদ্ধবাবু। সাংসদের বেলাগাম মন্তব্যে বিতর্ক বাঁধে।
মাঝের এতগুলো বছরে বদলেছে ছবি। বুদ্ধবাবু এখন অসুস্থ। কল্যাণও আরও পরিণত। সেদিনের মন্তব্যের কথা মনে করলে এখন খারাপ লাগে কল্যাণের। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে বললেন নিজের অনুশোচনার কথা। বলেন, '২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমি বিধায়ক ছিলাম। তখন রাজনৈতিক ইস্যুতে অনেক বক্তব্য রেখেছি। উনিও শুনেছেন। ২০১১ সালে কোনও একটা মন্তব্য আমি করেছিলাম বুদ্ধবাবু সম্পর্কে, সেটা নিয়ে পরবর্তীকালে আমি বলেছিলামও, মন্তব্যটা না করলেই ভাল হত। যাই হোক যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। একজন রাজনীতিক হিসাবে বুদ্ধবাবুর একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তো রয়েছেই। রাজনৈতিক অনেকরকম বিরোধিতা ছিল। রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবেই। তবে সার্বিকভাবে উনি সৎ ও ভাল মানুষ। উনি অসুস্থ, ওঁর সুস্থতা কামনা করি। যেদিন থেকে অসুস্থ হয়ে রাজনীতি থেকে সরে গেলেন আমার মনে হয়েছিল ওঁর সুস্থ থাকাটা দরকার। বাংলার রাজনীতির জন্য দরকার।'
আরও পড়ুন- রাতে দেওয়া হল ফিজিওথেরাপি, এখন কেমন আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?