TMC MP Mahua Moitra vs Shantanu Thakur: কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত করলেন। তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করেছেন, পাচারকারীদের সরকারি পাস দিয়ে পাচারে সহায়তা করেন শান্তনু। পাচারকারীরা যাতে পশ্চিমবঙ্গে জলপথে সমস্যায় না পড়ে, তা-ও দেখভাল করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
মহুয়া মৈত্র তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হান্ডেলে একটি 'পাস'-এর একটি ছবি শেয়ার করেছেন। তার ভিত্তিতে তিনি অভিযোগ করেছেন যে শান্তনু ঠাকুর ৩ কেজি গরুর মাংস পাচারের অনুমতি দিয়েছিলেন। ছবিতে দেখা গিয়েছে, নিজের অফিসিয়াল লেটারহেডে শান্তনু ওই মাংস সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়ার জন্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ৮৫তম ব্যাটালিয়নকে বলেছেন।
এই প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র তাঁর পোস্টে বিএসএফ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MoHA)-কে ট্যাগ করে লিখেছেন, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৩ কেজি গরুর মাংস পাস করানোর জন্য নিজের অফিসিয়াল লেটারহেডে @BSF_India 85BN-কে চিঠি দিয়েছিলেন।'
পালটা শান্তনু ঠাকুর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের বিভিন্ন পণ্য পরিবহণে সহায়তা করার জন্য লেটারহেডে চিঠি দেন। কারণ সেখানে একটি বিএসএফ চেকপয়েন্ট আছে। যাতে 'দেশের বাইরে' গরুর মাংস পাচার না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য।
শান্তনু ঠাকুরের পালটা অভিযোগ, 'মহুয়া মৈত্র মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। স্থানীয় সমস্যা সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই নেই। তিনি জানেন না যে কেন এই ধরনের লেটারহেড ইস্যু করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসও সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য এই ধরনের লেটারহেড ইস্যু করে। তিনি কেন এই সত্য লুকিয়ে রাখলেন?'
আরও পড়ুন- রোহিতদের জন্য কোটি কোটি টাকা, ব্রাত্য কেন আমরা! গর্জে উঠলেন ১৯৮৩-এর বিশ্বজয়ীরা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, 'আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একটি চেকপয়েন্ট রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএসএফের হাতে সাধারণ মানুষের হয়রানি রুখতে এই ধরনের লেটারহেড জারি করা হয়। আমি লোকেদের মাংস খাওয়া বন্ধ করতে পারি না। কারণ, এই অঞ্চলে বসবাসকারী বিপুলসংখ্যক লোক মুসলমান।' আর, তাই তিনি লেটারহেডে চিঠি দিয়েছিলেন বলেই শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন।