দলের নামে সর্বভারতীয় থাকলেও আর জাতীয় নয় তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪ লোকসভার আগে তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নিল নির্বাচন কমিশন। একই হাল শরদ পাওয়ারের এনসিপি ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিআইয়ের। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ারের দল বা দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল সিপিআইকে টেক্কা দিয়েছে অরবিন্দ কেজিওয়ালের আম আদমি পার্টি। আপ-কে এখন জাতীয় দলের তকমা দিল কমিশন।
গত সপ্তাহে এ ব্যাপারে কর্ণাটক হাইকোর্ট আপ-কে জাতীয় দলের তকমা ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে কমিশন আগে থেকেই উদ্যোগী ছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে জাতীয় দল হিসাবে তাদের মর্যাদা কেন কেড়ে নেওয়া হবে না? গত বছর জুলাইয়ে তৃণমূল, এনসিপি এবং সিপিআইকে চিঠি পাঠিয়ে জবাবদিহি চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
ইলেকশন সিম্বল (রিজারভেশন অ্যান্ড অ্যালটমেন্ট) ১৯৬৮ আইনের প্যারা ৬-বি অনুযায়ী কোনও একটি দল যদি চার বা ততোধিক রাজ্যে একটি স্বীকৃত রাষ্ট্রীয় দল হয় তবে একটি জাতীয় দল হিসাবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। যদি সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীরা গত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে চার বা ততোধিক রাজ্যে বৈধ ভোটের কমপক্ষে ৬ শতাংশ ভোট পান এবং নির্বাচনে কমপক্ষে চারজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বা যদি এটি মোট লোকসভার কমপক্ষে ২ শতাংশ ভোট পেয়ে অন্তত তিনটি রাজ্যে আসন।
দিল্লি এবং পাঞ্জাবে আপ বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। এছাড়াও একাধিক রাজ্যে বেশ কয়েকটি বিধায়ক ও সাংসদ রয়েছে এই দলের৷ গত গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে এটি ৬.৭৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। গত বছর গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে দলটি পাঁচটি আসন জিতেছিল।
কমিশনের এই পদক্ষেপের পর আইনি পথে লড়াইয়ের ভাবনায় তৃণমূল।জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।