দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের দেবসালা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সির ছেলে তথা ওই একালার যুব তৃণমূল নেতা চঞ্চল বক্সি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চঞ্চল বক্সি হত্যার ঘটনায় তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি। যদিও গেরুয়া বাহিনী অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আউশগ্রাম দু নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হায়দার আলীর বিবরণ অনুসারে, মঙ্গলবার দুপুরে আউশগ্রামের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সি ও তার ছেলে চঞ্চল মটন সাইকেলে চেপে এক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝপথেই ভাতকুণ্ডা এলাকার আগেই পড়ে জঙ্গল। সেখানেই তাঁদের মোটর সাইকেল থামায় দুষ্কৃতীরা। গোল করে ঘিরে ধরে পিতা-পুত্রকে। এরপর নাগাড়ে ৫ রাউন্ড গুলি চালায় তারা। কোনও মতে পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সি রেহাই পেলেও তাঁর ছেলে চঞ্চলের শরীরে তিনটি গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু যুব তৃণমূল নেতার
ঘটনার খবর জানানি হতেই আউশগ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বন্দুক। এখন দেখার, দেবসালা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সি, নাকি তাঁর ছেলে চঞ্চল- কে দুষ্কৃতীদের নিশানায় ছিলেন।
এই হত্যার ঘটনায় তৃণমূলের তিরে বিজেপি। যদিও নিহত শ্যামলের বাবা দেবসালা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সির কথায় গেরুয়া শিবিরের উল্লেখ নেই। উল্টে তাঁর দাবি, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই তাঁর পরিবারের ভালো সম্পর্ক। এমনকী ওই এলাকায় তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দল শক্তিশালী নয় বলেও দাবি তাঁর।
বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেছেন, 'ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিজেপি এই ধরণের কাজ করে না। তৃণমূল নিজেরাই রক্তের খেলা শুরু করেছে, এটা ওদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন