ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সতর্ক ভাবে পা ফেলতে চাইছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অভিযোগ সামনে আসার ২৪ ঘণ্টা পরেও তৃণমূলের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় আবার মোদী সরকার এবং আদানি গোষ্ঠী জড়িয়ে পড়েছে। জয় অনন্ত দেহাদ্রাই নামে যে আইনজীবী মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই এবং বিজেপি সাংসদকে চিঠি লিখেছেন, তিনি আবার এককাকলে মহুয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তাহলে কি বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার প্রতিশোধে মহুয়াকে প্যাঁচে ফেলতে চাইছেন ওই আইনজীবী, প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
রবিবার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে লোকসভার স্পিকারকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, মহুয়া শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে ঘুষ-বাবদ টাকা, উপহার নিয়ে তাঁর ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষায় প্রশ্ন তুলেছিলেন। হীরানন্দানি গোষ্ঠী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দিল্লির আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে নিশিকান্ত দুবেকে চিঠি লিখেছিলেন। জয় অনন্তের দেওয়া নথির ভিত্তিতেই নিশিকান্ত স্পিকারকে চিঠি লেখেন।
আরও পড়ুন মিড ডে মিলে ঘোর রহস্য, ঘাটতি পোষাতে চাল আসছে কোথা থেকে?
পাল্টা মহুয়া মৈত্র তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যে, মানহানিকর অভিযোগ’ তোলার জন্য বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী জয় অনন্তকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। যে সব সংবাদমাধ্যম তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের খবর প্রকাশ করেছে, তাদেরও আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন মহুয়া। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ওই আইনি নোটিসে জানানো হয়েছে, সিবিআই ও নিশিকান্তের কাছে অভিযোগ জানানো আইনজীবী জয় অনন্ত ও মহুয়া ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ ছিলেন। পরে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
তার পরে জয় অনন্ত মহুয়াকে হুমকি দিয়ে মেসেজ করেন। তাঁর সরকারি বাসভবনে বিনা অনুমতিতে ঢুকে মহুয়ার পোষা কুকুর ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যান। পরে কুকুর ফেরত দেন। বারবার হেনস্থা করায় মহুয়া জয় অনন্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। সূত্রের বক্তব্য, রবিবার মহুয়ার কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তা জয় অনন্তেরই কাজ বলে সন্দেহ মহুয়ার। কারণ, এর মধ্যে কিছু ছবিতে জয় অনন্ত নিজেই মহুয়ার সঙ্গে ছিলেন।