Rachana Banerjee in Local Train: কতদিন পরে? নিজেই জানেন না। ট্রেনের টিকিট হাতে নিয়েই উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে উঠলেন, "ওরে বাপরে বাপ! কতদিন পরে এই টিকিট দেখলাম।" লোকাল ট্রেনে শেষ কবে উঠেছেন নিজেই জানেন না। তিনি হুগলির সেলিব্রিটি তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)।
শনিবার সকাল ৮ টা। ব্যান্ডেল স্টেশনে থিকথিকে ভিড়। তারই মধ্যে হাওড়াগামী লোকাল ট্রেনে উঠে পড়লেন দিদি নং ১ (Didi No 1) খ্যাত অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। গন্তব্য চন্দননগর (Chandannagar)। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার সহ একঝাঁক তৃণমূল কর্মী। তাঁদের মধ্যে মহিলাই বেশি।
সকাল ৮.০৫-এর ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল। প্রথম বগিতে উঠে ট্রেন ছাড়ার পরই মানুষজনের ভিড় দেখে তাঁর প্রশ্ন, "এটায় কি ছেলেমেয়ে সবাই উঠতে পারে?" অর্থাৎ এটা কি জেনারেল বগি? ততক্ষণে যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পালা শুরু করে দিয়েছেন রচনা। পরবর্তী স্টেশন হুগলিতে নেমেই পরের মহিলা সংরক্ষিত কামরায় উঠে পড়েন তিনি। তবে একদল তৃণমূল কর্মী তাঁকে এমনভাবে ঘিরে রেখেছিল যে ট্রেনযাত্রীরা রচনার ধারেকাছেই ঘেঁষতে পারেননি।
আরও পড়ুন- Travel: ঢের হয়েছে দিঘা-মন্দারমণি! ঢুঁ মারুন কলকাতার খুব কাছে অপূর্ব এই সমুদ্র পাড়ে
তবে এরই ফাঁকে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন ভোটে জিতলে আবারও কি মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতে লোকাল ট্রেনে তাঁকে দেখা যাবে? উত্তরে রচনা বললেন, "নিশ্চয়ই। এত কি প্রশ্ন করেন যে জেতার পর কী করব? জেতার পর অনেক কিছু করব।"
চূড়ান্ত হুড়োহুড়ির মধ্যে চন্দননগর নেমে যান তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। সেখানে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ম্যারাথন প্রচার সেরে দুপুরে সাহাগঞ্জের ডানলপ ময়দানে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দেবেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর দাবি, তাঁর এই ট্রেনে প্রচার যথেষ্ট ইতিবাচক। ট্রেনের নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে হকার, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এদিন ট্রেনপথে আলাপ সেরেছেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রচনার প্রতিপক্ষ BJP প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও (Locket Chatterjee) ট্রেনে চেপে প্রচার করেছিলেন এই ব্যান্ডেল থেকেই। তিনি গিয়েছিলেন মানকুণ্ডু পর্যন্ত। এবার রচনাও সেই একই পথে হাঁটলেন।