বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বেপরোয়া একটি লরি এসে বিধায়কের গাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। তারই জেরে তাঁর গাড়ির অনেকটা অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। জখম হন গাড়ির চালক ও বিধায়কের দেহরক্ষী। তবে দুর্ঘটনার সময় বিধায়ক নিজে গাড়িতে ছিলেন না। পরে পুলিশ ঘাতক লরির চালককে গ্রেফতার করেছে।
Advertisment
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে মালদহের গাজোলের ময়নায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল বিধায়কের গাড়ি। ঠিক সেই সময় গাড়িটিতে এসে সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। দুর্ঘটনার জেরে বিধায়কের গাড়ির চালক এবং একজন দেহরক্ষী আহত হয়েছেন।
এরই মধ্যে বিধায়কের অন্য দেহরক্ষীরা কোনওভাবে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে পিছনে থাকা ঘাতক লরির চালককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাজোল থানার পুলিশ। লরিটি আটক করার পাশাপাশি চালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর এদিন শিয়ালদহ-আলিপুরদুয়ারগামী পদাতিক এক্সপ্রেসে মালদহে নামার কথা ছিল। ট্রেনটি মালদহে পৌঁছোয় ভোর ৫.৪৫ মিনিটে। মালদহ টাউন স্টেশনে বিধায়ককে নিতেই তাঁর দেহরক্ষীরা ওই গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় গাজোলের ময়না এলাকায় জাতীয় সড়কে একটি লরি পিছন থেকে বিধায়কের গাড়িতে ধাক্কা মারে।
তবে দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন না বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে তিনি বেঁচে গিয়েছেন। তবে এই ঘটনার পিছনে বিধায়ককে খুনের চক্রান্ত রয়েছে বলেও তৃণমূলের একাংশ অভিযোগ করেছেন। যদিও এখনই এব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। এদিন কলকাতা থেকে ফিরে বিধায়ক অন্য গাড়িতেই রায়গঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন।