Malda North Lok Sabha constituency 2024: ১০ মার্চ ঘটা করে রাজ্যের ৪২ আসনে লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। বিভিন্ন কেন্দ্রের ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। সঙ্গে দলীয় নেতা, কর্মীরা। কিন্তু ব্যতিক্রম যেন মালদা। এই জেলার কোনও কেন্দ্রেই লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে দেখা যাচ্ছে না জোড়-ফুলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসুম নূরকে! অথচ জেলা তৃণমূল নির্বাচন কমিটির দু'টি লোকসভা কেন্দ্রেই শীর্ষে নাম রাখা হয়েছে সাংসদ মৌসুম নূরের। তারপরে রয়েছে জেলার দুই মন্ত্রীর নাম।তাহলে অনুপস্থিত কেন মৌসম? কলকাতা থেকে দিল্লি ফিরে নীরবতা ভাঙলেন মালদা উত্তরের প্রাক্তন সাংসদ। যা নিয়ে ফের জল্পনা চলছে।
কী বলেছেন মৌসম নূর?
বাংলার জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত গনিখান চৌধুরীর ভাগ্নি মৌসম নূর। ২০১৪ সালে হাত প্রতীকে মালদা উত্তর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন মৌসম। তাঁর মা প্রয়াত রুবি নূর ছিলেন সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বহুবারের বিধায়ক। ছোট থেকে রাজনৈতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠেন মৌসম। ২০১৪ সালে মালদা উত্তর লোকসভা থেকে কংগ্রেস তাঁকে টিকিট দেয়। প্রথম সুযোগেই বাজি মাত করে সাংসদ নির্বাচিত হন মৌসম। পরে শুভেন্দু অধিকারীর মাধ্যমে নবান্নে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে একই লোকসভা কেন্দ্রে থেকে জোড়-ফুল প্রতীকে ভোট লড়লেও পরাজিত হয় মৌসম নূর। মালদা উত্তর দখন করে বিজেপি। সাংসদ হন খগেন মুর্মু।
এবার মালদা উত্তর কেন্দ্রে তৃণমূলের বাজি অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্সূণের প্রচারেই দেখা নেই মৌসমের। কেন এই অবস্থা? মৌসমের কথায়, 'আমি উত্তর মালদার দু'বারের সাংসদ ছিলাম, জেলা সভানেত্রীও ছিলাম। অবশ্যই আমার প্রত্যাশা ছিল টিকিটের। কারণ , গত বার আমি বিজেপির কাছে হেরে গিয়েছিলাম। একই পরিবার থেকে আমরা দু'জনে (২০১৯য়েক কং প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী) দাঁড়িয়েছিলাম, তাই ভোটটা ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিল। এ বার টিকিট পেলে জিতব বলে আমার ধারণা ছিল। একটা প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছিল বিজেপিকে হারানোর জন্য। যাই হোক, আমাদের নেত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে প্রার্থী হবেন। সেই সিদ্ধান্তকে দলের একজন সৈনিক হিসাবে আমি স্বাগত জানাই। নিজের প্রত্যাশা থাকলেও দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকে মেনেছি। সেটা মেনেই চলব।'
অর্থাৎ মৌসমের মুখে অনুগত দলীয় সৈনিকের সুর শোনা গেলেও শেষপর্যন্ত অভিমানী তিনি।
মৌসমের দলবদলের জল্পনা-
দলবদলের সম্ভাবনাকেও ভিত্তিহীন বলে নস্যাৎ করেছেন তৃণণূলের রাজ্যসভার সাংসদ। অর্থাৎ অর্জুন সিংয়ের পথে দল বদলে নারাজ মৌসম নূর।
আদৌ নামবেন দলীয় প্রার্থীর প্রচারে?
মৌসম নূরের কথায়, 'আমি অসুস্থ ছিলাম। ভাইরাল ফিভার হয়েছিল। খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। তাই কলকাতায় ছিলাম। একটা কাজে দিল্লিতেও যেতে হয়েছিল। এখন মালদহে ফিরে এসেছি। আমাদের প্রার্থীর জন্য, দলের জন্য অবশ্যই আমি নামব। আমি আশা করি, এবার দু'টো আসনই তৃণমূল পাবে।'