রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিধানসভায় সেই বিল পাশ হয়েছে। যা নিয়ে এ দিন মোক্ষম কাটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জ যে, 'দিদিমণি রিটায়ার হয়ে যাবেন, কিন্তু আচার্য হতে পারবেন না।' তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বিরোধী দলনেতা। আর শুভেন্দুর সেই যুক্তিকে ঢাল গাতিয়ার করেই গেরুয়া বিরোধী প্রচার শুরু করে দিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। হু হু করে টুইট করেছেন রাজ্যের একের পর এক মন্ত্রী।
কী বলেছেন শুভেন্দু?
মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার বিল বিধানসভায় পাশ হলেও তা আইনে পরিণত হবে না। অর্থাৎ, বাস্তবে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচার্য হওয়া হবে না। এ দিন বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েই সাফ বলে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, 'অপোজ করবে, ভোটিং করবে, রেকর্ড করাবে, আর তারপর ঘভর্নরের কাছে যাবে, গভর্নর দিল্লি পাঠাবে। এটা কনকারেন্ট লিস্টে (যৌথ তালিকা) আছে, দিল্লিতে গিয়ে বঙ্গ নামের মতো, বিধান পরিষদের মতো আমাদের কাছে পড়ে থাকবে। দিদিমণি রিটায়ার হয়ে যাবেন, কিন্তু আচার্য হতে পারবেন না।'
শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যেই হাতিয়ার করে তৃণমূল। শাসক শিবিরের দাবি, বিজেপি ও রাজ্যপাল হাত মিলিয়ে বাংলার উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটাতে মরিয়া। সর্বভারতীয় তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে যে, 'আমরা এতদিন যা বলছিলাম, আজ তা সবার সামনে। বিজেপি এবং রাজ্যপাল বাংলার উন্নয়নকে বাধা দিতে চাইছে। রাজ্যপালের দফতরে তারা কীভাবে প্রভাব বিস্তার করেন, শুভেন্দু অধিকারী আজ তা সবার সামনে স্বীকার করে নিয়েছেন!'
একই সুরে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজারা।
বেশ কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের প্রাস্তাব বিধানসভায় পাশ হয়েছিল। তারপর প্রস্তাবিত নাম দিল্লিতেও অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু তা এখনও আটকে রয়েছে। একইভাবে থমকে রয়েছে বিধান পরিষদের বিষয়টিও। বাওড়া থেকে বালি পুরসভা বিচ্ছিন্নকরণ বিল এখনও রাজ্যপালের কাছে সাক্ষরের জন্য পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এবার এই বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করল বিরোধী দলনেতার মন্তব্য।
'শুভেন্দু স্বীকার করলেন', রে রে করে উঠল জোড়া-ফুল
সোমবার বিধানসভায় সেই বিল পাশ হয়েছে। যা নিয়ে এ দিন মোক্ষম কাটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
Follow Us
রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিধানসভায় সেই বিল পাশ হয়েছে। যা নিয়ে এ দিন মোক্ষম কাটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জ যে, 'দিদিমণি রিটায়ার হয়ে যাবেন, কিন্তু আচার্য হতে পারবেন না।' তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বিরোধী দলনেতা। আর শুভেন্দুর সেই যুক্তিকে ঢাল গাতিয়ার করেই গেরুয়া বিরোধী প্রচার শুরু করে দিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। হু হু করে টুইট করেছেন রাজ্যের একের পর এক মন্ত্রী।
কী বলেছেন শুভেন্দু?
মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার বিল বিধানসভায় পাশ হলেও তা আইনে পরিণত হবে না। অর্থাৎ, বাস্তবে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচার্য হওয়া হবে না। এ দিন বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েই সাফ বলে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, 'অপোজ করবে, ভোটিং করবে, রেকর্ড করাবে, আর তারপর ঘভর্নরের কাছে যাবে, গভর্নর দিল্লি পাঠাবে। এটা কনকারেন্ট লিস্টে (যৌথ তালিকা) আছে, দিল্লিতে গিয়ে বঙ্গ নামের মতো, বিধান পরিষদের মতো আমাদের কাছে পড়ে থাকবে। দিদিমণি রিটায়ার হয়ে যাবেন, কিন্তু আচার্য হতে পারবেন না।'
শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যেই হাতিয়ার করে তৃণমূল। শাসক শিবিরের দাবি, বিজেপি ও রাজ্যপাল হাত মিলিয়ে বাংলার উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটাতে মরিয়া। সর্বভারতীয় তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে যে, 'আমরা এতদিন যা বলছিলাম, আজ তা সবার সামনে। বিজেপি এবং রাজ্যপাল বাংলার উন্নয়নকে বাধা দিতে চাইছে। রাজ্যপালের দফতরে তারা কীভাবে প্রভাব বিস্তার করেন, শুভেন্দু অধিকারী আজ তা সবার সামনে স্বীকার করে নিয়েছেন!'
একই সুরে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজারা।
বেশ কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের প্রাস্তাব বিধানসভায় পাশ হয়েছিল। তারপর প্রস্তাবিত নাম দিল্লিতেও অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু তা এখনও আটকে রয়েছে। একইভাবে থমকে রয়েছে বিধান পরিষদের বিষয়টিও। বাওড়া থেকে বালি পুরসভা বিচ্ছিন্নকরণ বিল এখনও রাজ্যপালের কাছে সাক্ষরের জন্য পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এবার এই বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করল বিরোধী দলনেতার মন্তব্য।