আবারও কেষ্টকে বরাভয় দিদির! ''বীরের সম্মান দিয়ে কেষ্টকে ফিরিয়ে আনবেন। এর জন্য তৈরি থাকুন।'' নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সভায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বার্তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গরু পাচার মামলায় আষ্টেপৃষ্টে ফেঁসে এই মুহূর্তে আসানসোল জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
এর আগেও জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ঢালাও সার্টিফিকেট দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 'কেষ্ট কী করেছে?' ভরা সভায় অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্যও করেছিলেন মমতা। এবার আরও একধাপ এগিয়ে কেষ্টকে বীরের সম্মানে জেল থেকে বের করে আনার বার্তা তৃণমূলনেত্রীর। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বিধায়ক, সাংসদদের পাশাপাশি জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছিল তৃণমূল।
সেই বৈঠকেই এদিন বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের প্রতি মমতার বার্তা, ''কেষ্ট বেচারা ওঁর নিজেরই শরীর খারাপ। প্রতি ভোটে ওঁকে নজরবন্দি করে রেখে দেয়।'' এরপরেই বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ''ভাবছেন জেলে বন্দি করে রেখে পার্মালমেন্টের সিট দখল করবেন। ও গুড়ে বালি। যতদিন কেষ্ট ফিরে না আসছে লড়াই আরও তিন গুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে ওকে জেল থেকে বের করে আনবেন। এর জন্য তৈরি তাকুন। বীরভূম হারতে শেখেনি, হারতে জানে না।''
রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই। এসএসসি, টেট, গরু, কয়লা পাচারের মতো দুর্নীতির তদন্তে নাম উঠে এসেছে বেশ কয়েকজন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীর। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কয়লা পাচার কাণ্ডে আগে দু'বার দিল্লিতে ও শেষবার কলকাতার অফিসে ডেকে পাঠিয়ে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু-সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে CID-র চাপ দেবযানীকে, অভিযোগ মায়ের, CBI-কে চিঠি
এছাড়াও এসএসসি দুর্নীতির দায়ে বর্তমানে জেলে রয়েছেন একদা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গরু পাচার মামলায় জড়িয়ে জেলে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলও। বুধবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের ৬টি বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে ইডি। কয়লা পাচার কাণ্ডে আগামিকাল ফের তলব করা হয়েছে আসানসোলের এই তৃণমূল নেতাকে।
আরও পড়ুন- বাগুইআটির জোড়া খুন: দেহ মেলার ১৫ দিনের মাথায় ঘেরা হল জায়গা, তদন্তের ধরন নিয়েই প্রশ্ন
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির তদন্তে কিছুই বেরোবে না। এপ্রসঙ্গে তাঁর মুখে এদিন শোনা যায়, ''কিছু নেই, আমি সব শুনে নিয়েছি। ইডি সকালে ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পড়ছে। মলয় গতকাল জবাব দিয়েছে। দিল্লির এজেন্সিকে সঙ্গে নিয়ে বেকারদের চাকরি কেড়ে নিয়ে, গ্যাস-পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে বুলেট ট্রেনের থেকেও বেশি গতিতে মিথ্যাচার চলছে। দেশটাই বিক্রি করে দিয়েছে। আমি চাই বিজেপি ও এজেন্সি সব কিছু করুক। আমি শুনে নিয়েছি এসব কিছুই নেই।''