রাজ্যজুড়ে একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে হানা ইডি-সিবিআইয়ের। তল্লাশি চালিয়ে হেনস্তার অভিযোগ শাসকদলের প্রতিনিধিদের। সোমবারও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, এজেন্সি-রাজ চালাচ্ছে বিজেপি। এবার বিধানসভায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার একথা জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নোটিস দিয়েছেন শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দফতরের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। হেনস্তার অভিযোগকে সামনে রেখে নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে শাসকদল। আগামী বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। তার আগে সোমবার বিধানসভার কার্য উপদেষ্টার বৈঠক ছিল।
এদিনের বৈঠকে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল ঘোষ, তাপস রায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সূত্রের খবর, অধিবেশনে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিলও পাশ করানো হতে পারে।
আরও পড়ুন দিনে ৩ ঘণ্টার বেশি জেরা করতে পারবে না CBI, হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সুবোধের
এদিকে, বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন এবার মুখ্যমন্ত্রীর ব্লকে আর অন্য কোনও মন্ত্রী বসবেন না। বিধানসভায় বিধায়কদের বসার জন্য নতুন করে আসন বিন্যাস করা হয়েছে। জেলবন্দি বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৭২ নম্বর আসন। বিধানসভা সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ আসন হল ৩০০ নম্বর। নিয়মানুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসন ফাঁকা রাখা হয়। কিন্তু এতদিন সেখানে বসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ ১১ বছর পরিষদীয় মন্ত্রী ছিলেন পার্থ, তাই তাঁকে ওই ফাঁকা আসনে বসতে দেওয়া হয়েছিল।