সাগরদিঘিতে শুধুই হার নয়, ভোট-ব্যাঙ্কে বিরাট ধ্বস তৃণমূলে। একুশের বিধানসভা ভোটের নিরিখে এক ধাক্কায় ১৬ শতাংশ ভোট কমে গেল জোড়াফুলের। উল্টোদিকে, একুশের নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের এই কেন্দ্র থেকে ১৯ শতাংশ ভোট ঝুলিতে পুরে তেইশের উপ-নির্বাচনে সেই ভোটই বামেদের সঙ্গী করে ৪৭ শতাংশে নিয়ে গেল কংগ্রেস। সব মিলিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বামেদের সঙ্গে নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল হাত-শিবির। বিরোধী শক্তির এই জয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাম-কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল অনেকটাই চাঙ্গা করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Advertisment
একুশের বিধানসভা ভোটে সাগরদিঘি কেন্দ্র থেকে বিপুল মার্জিনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা। ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে জয় পেয়েছিলেন তিনি। সেবারের নির্বাচনে তৃণমূল সাগরদিঘি কেন্দ্র থেকে ৫১ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিল। একুশের নির্বাচনে সাগরদিঘিতে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি ছিল দ্বিতীয় স্থানে। কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ১৯ শতাংশ ভোট।
তারও আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের এই কেন্দ্রে ২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। ২০১৬ সালের নির্বাচনে সাগরদিঘি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস ও সিপিএমের প্রার্থী ২৩ শতাংশ করে ভোট পেয়েছিলেন।
বাম-কংগ্রেস জোটের কাছে সাগরদিগি উপ-নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে জোড়াফুল। একুশের হিসেব ধরলে শতাংশের নিরিখে তাদের ভোট কমে গিয়েছে অনেকটাই। ৫১ থেকে নেমে এবারে উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ ভোট। উল্টোদিকে কংগ্রেস বামেদের সমর্থন পেয়ে এই কেন্দ্র থেকে ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তৃতীয় স্থানে নেমে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা পেয়েছেন মাত্র ১৪ শতাংশ ভোট। সব মিলিযে সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন।