/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/07/murder-pic.png)
ভোট মিটলেও মিটছে না মাত্রাছাড়া সন্ত্রাস।
ভোটের পর তিন সপ্তাহ কাটতে চললেও লাগামহীন সন্ত্রাসে বিরাম নেই। এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে গুলি করে খুন। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন আরও ১ জন। তুমুল চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব পঞ্চায়েতের অর্জুনপুরে।
দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন মগরাহাট পূর্ব পঞ্চায়েতের তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী মৈমুর ঘরামি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাজাহান মোল্লা নামে আরও এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী মৈমুর ঘরামি। তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি করে। ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপ পড়তে থাকে মৈমুরের উপর।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/07/pic-11.jpg)
আরও পড়ুন- খাওয়ার থালা থেকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা, গা কাঁপানো পরিণতি নির্দল সমর্থকের!
সেই ঘটনা দেখতে পায়ে মৈমুরকে বাঁচাতে ছুটে আসেন প্রতিবেশী শাজাহান মোল্লা। তাঁকেও দুষ্কৃতীরা গুলি করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৈমুর ও শাজাহানকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেই চিকিৎসকেরা মৈমুর ঘরামিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ শাজাহান মোল্লার শারীরিক পরিস্থিতিও অত্যন্ত সঙ্কটজনক। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাজাহান। এদিকে, এই ঘটনার পর রাতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাসপাতালে আসেন এসডিপিও মিতুন দে।
আরও পড়ুন- একতলার অনুমোদনে পাঁচতলা ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং, মারাত্মক আশঙ্কায় হাইকোর্টে মামলা
তিনি জানান, মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুনপুরে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী ছিলেন মৈমুর ঘরামি। এলাকায় বেশ কিছু দুষ্কৃতীর সঙ্গে তাঁর বাদানুবাদ চলছিল। সম্ভবত সেই কারণে তাঁর উপর এমন নৃশংস হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- আজ থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি, বর্ষার প্রবল রূপ দেখবে দক্ষিণবঙ্গ! দুর্যোগ চলবে কতদিন?
তবে এই খুনের পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে মগরাহাট থানার পুলিশ। খুনের ঘটনার পর থেকে থমথমে হয়েছে মগরাহাট পূর্বর অর্জুনপুর এলাকা। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।