TMC-Congress: মালদার ইংরেজবাজারের যদুপুর কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে পারল না বিরোধীরা। যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কার্যত জয়লাভ করলো তৃণমূল। বুধবার এই কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে যদুপুর এলাকায়। বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে না পেরে সংশ্লিষ্ট এলাকার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে বসে পড়েন এবং অবরোধ করে।
অবরোধের খবর পেয়ে ওই এলাকায় পৌঁছোয় ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সাময়িক সময়ের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ হলেও পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে যদুপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষি সমবায় সমিতির মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে বিস্তর অভিযোগ তুলে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু অবশেষে এদিন বিরোধী দলের কোনও প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে না পারায় এই কৃষি সমবায় সমিতির ৬৯ টি আসনেই কার্যত অলিখিত ভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে তৃণমূল। যদিও এখানকার কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল আগামী ১৫ জুন। বুধবার ছিল সেই মনোনয়নের জমা দেওয়ার শেষ দিন। আর তাকে ঘিরেই এদিন এমন উত্তেজনা তৈরি হয়।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক মুত্তাকিন আলমের অভিযোগ, "আমরা ৬৯ টি আসনেরই প্রার্থী নিয়ে এদিন এসেছিলাম। কিন্তু শাসক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। পুলিশও শাসকদলের হয়ে কাজ করেছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার জাতীয় সড়কে বসে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। কিন্তু তারপরও সুরাহা হয়নি। এদিন অন্যায়ভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বাধা দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তার প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন- Purba Bardhaman News:ফের হাড়হিম হত্যাকাণ্ড, গা শিউরে ওঠার মতো নৃশংস খুন, ধরন দেখে হতভম্ব পুলিশও
এদিকে তৃণমূলের ইংরেজবাজার ব্লক সভাপতি প্রতিভা সিংহ বলেন, "আগামী ১৫ জুন যদুপুর কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচন রয়েছে। গত তিন দিন ধরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ চলছে। আর এদিন মনোনয়নের শেষ মুহূর্তে কংগ্রেস এসেছিল। সময় ফুরিয়ে গিয়েছে মনোনয়ন জমা দিবে ওরা কীভাবে? আসলে ওরা প্রার্থীর দিতে পারেনি, তাই এদিন অযথা এসে গোলমাল পাকিয়েছে। যদি মনোনয়ন জমা দেওয়ার থাকতো তাহলে তিন দিনের মধ্যে যে কোনও একদিন দিতে পারতো। যেটা তৃণমূল করেছে। এদিন বিরোধী দলের কেউই মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। ফলে এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয় লাভ করেছে।"