থোড়াই কেয়ার ১৪৪ ধারা। মনোনয়ন জমার শেষ দিনেও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। এবার সাতসকালে সটান গাড়ি নিয়ে ভাঙড় ২ বিডিও অফিসে তৃণমূলের 'তাজা নেতা' আরাবুল ইসলাম। নেতা যাওয়ার আগেই অবশ্য গোটা বিডিও অফিস কার্যত শাসকদলের কর্মীদের দখলে চলে গিয়েছিল। চূড়ান্ত উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় বিডিও অফিসে। শেষমেশ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মনোনয়ন জমার শেষ দিন। এর আগে গত ৩ দিন ধরে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তির ছবি দেখেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। দফায় দফায় আইএসএফ ও তৃণমূলকর্মীদের সংঘর্ষে কার্যত রণভূমের চেহারা নিয়েছিল ভাঙড়। ভাঙচুর, বোমাবাজি, সংঘর্ষ বাদ যায়নি কিছুই। এমনকী পুলিশ, সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের উপর পর্যন্ত আক্রমণ হয়েছে। একের পর এক পুলিশের গাড়িতেও চলেছে বেপরোয়া ভাঙুচর।
আরও পড়ুন- বর্ধমানে ‘ভোট লুঠের’ গেমপ্ল্যানে মমতার অত্যন্ত কাছের মন্ত্রী ও SP? বিস্ফোরক শুভেন্দু!
ভাঙড়ের পরিস্থিতি সামলাতে কার্যত দিশেহারা দশা পুলিশের। শাসকদলের কর্মীরা বিরোধীদের মনোনয়ন জমায় বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিরোধীদের বিরুদ্ধেই ভাঙড়ে পাল্টা মারধর, হামলার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবারই মনোনয়ন জমার শেষ দিন। তার আগে সকাল থেকে ভাঙড় ২ বিডিও অফিস তৃণমূলকর্মীদের দখলে চলে গিয়েছিল। এরই মধ্যে সটান গাড়ি নিয়ে বিডিও অফিসে হাজির দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম।
বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই অবৈধ জমায়েত? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে যথেষ্টই বিব্রত বোধ করতে থাকেন এলাকায় থাকা পুলিশকর্তারা। শেষমেশ উদ্যোগী হয়ে তাঁরা বিডিও অফিস থেকে অবৈধ জমায়েত সরিয়ে দেন।