/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/11/caning.jpg)
ক্যানিংয়ে খুন যুব তৃণমূল নেতা।
ক্যানিংয়ে খুন যুব তৃণমূল নেতা। শনিবার সন্ধেয় বাড়ির সামনেই তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। ৫-৭ দুষ্কৃতী খুব কাছ থেকে গুলি করে ওই তৃণমূল নেতাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যুব তৃণমূল নেতা মহরম শেখকে। শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ভোররাতে হাসপাতালে মৃত্যু তৃণমূল নেতার। দলের যুব নেতার উপর হামলার ঘটনায় বিরোধী সিপিএম ও বিজেপির হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা বলে পাল্টা দাবি বিজেপির।
ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটার বাসিন্দা যুব তৃণমূল নেতা মহরম শেখ। শনিবার সন্ধেয় বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন মহরম। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধেয় আচমকা তাঁদের বাড়ির সামনে ৫-৭ দুষ্কৃতী জড়ো হয়। মহরমকে ঘিরে ধরে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। এলোপাথাড়ি গুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন- বঙ্গে শীতের পথে বাধা নিম্নচাপ, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ভ্রুকুটি
পরিবারের সদস্যরাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহরম শেখ নামে ওই যুবককে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তাঁর বুক, পেট, মুখ, হাতে গুলি লেগেছিল। অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে এসএসকেএমে এনে চিকিৎসা শুরু হয় মহরমের। ভোররাতে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় যুব তৃণমূলের ওই নেতার।
ক্যানিংয়ের এই যুব তৃণমূল নেতা খুনে শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, 'এটা নতুন কিছু নয়। ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে কাটমানির কম-বেশিতে গুলি দিয়েই ওরা ফয়সালা করে। তৃণমূলের মধ্যে গোলাগুলি চলার ব্যাপারটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। হিংসার রাজনীতি চলছে বাংলায়।'
এদিকে, তরতাজা যুবকের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। নিহতের পরিবারের দাবি, স্থানীয় দুষ্কৃতীরাই মহরমকে খুন করেছে। পুলিশকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীর নাম-পরিচয় জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। সেই মতো এগোচ্ছে তদন্তের কাজ। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা শওকাত মোল্লা এই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বিরোধী বিজেপি ও সিপিএমের ঘাড়ে। যদিও অভিযোগ নস্যাৎ করে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দাবি, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন ওই যুব নেতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন