Advertisment

বালি চুরির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী, দলের লোকজনই যা ব্যবহার করল…

বেনজির অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন জেলা পরিষদের তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লক তৃণমূলের এই সভানেত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tmc mp sougata roy on sandeshkhali issue

বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যে তোলপাড়।

দিনের পর দিন ধরে নদী থেকে দেদার বালি চুরির অভিযোগ উঠছিল। একাধিকবার সেই অভিযোগ পেয়ে নিজে চোখে তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে বেনজির অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। তুফানগঞ্জ ব্লক তৃণমূলের সভানেত্রী চৈতি বর্মন বড়ুয়াকে দেখেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশই যে পরিস্থিতি তৈরি করলেন তা ঘিরে জোরদার শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

Advertisment

নিজের দলের লোকজনদের কাছ থেকে কেমন ব্যবহার পেলেন এই তৃণমূলনেত্রী?

জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জের মহিষকুচির গেদার চকে রায়ডাক নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছিল। বেআইনি এই কারবার সম্পর্কে একগুচ্ছ অভিযোগ গিয়েছিল কোচবিহার জেলা পরিষদে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেই এলাকায় গিয়েছিলেন তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের সভানেত্রী চৈতি বর্মন বড়ুয়া।

তিনি কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও বটে। তিনি ঘটনাস্থলে যেতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বেশ কয়েকজন। চৈতি বর্মন বড়ুয়া গো 'ব্যাক স্লোগান'ও ওঠে। দলেরই নেত্রীকে যখন 'গো ব্যক স্লোগান' দেওয়া হচ্ছে সেই সময়ে ঘটনাস্থলে তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সদস্যও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- পার্থ-বালুরা জেলে, কষ্ট হয়? নাকি রাগে তেতে ওঠেন? সোজাসাপ্টা উত্তর শোভনদেবের

তৃণমূলেরই একাংশ চৈতি বর্মন বড়ুয়ার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু দলনেত্রীর এমন হেনস্থায় তাঁরা কেউ বাধা দেননি বলেই অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিকভাবে এদিনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোচবিহারে ফের একবার তৃণমূলের অন্দরের কলহ প্রকাশ্যে এসেছে।

Cooch Behar protest tmc
Advertisment