Advertisment

রাজন্যা হালদারের 'শ্লীলতাহানি', যাদবপুরে TMCP-AIDSO তুমুল অশান্তি

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মহিলা নেত্রীদের জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
RAJANYA HALDER

আক্রান্ত রাজন্যা হালদার

ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেত্রী রাজন্যা হালদার। তিনি শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার দুপুরে, সেই নিয়েই বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আর, এনিয়েই এআইডিএসওর সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিবাদ শুরু হয়। বিবাদ শেষ পর্যন্ত হাতাহাতির চেহারা নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে সংঘর্ষের পর ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার। অসুস্থতা বোধ করেন এআইডিএসওর বেশ কিছু কর্মী-সমর্থকও। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisment

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, তাদের এদিন ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সংগঠনের মহিলা সদস্যদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। সংগঠনের অভিযোগ, বচসার সময় শ্লীলতাহানি করা হয়েছে সংগঠনের নেত্রী রাজন্যা হালদারের। তাঁর আঘাত লেগেছে। জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এআইডিএসও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পালটা অভিযোগ, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে জিবি (জেনারেল বডি) মিটিং ছিল। তখনই বহিরাগত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করে। বিকেল পর্যন্ত এই গোলমালে উত্তপ্ত থাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংলগ্ন চত্বর।

এই ব্যাপারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, 'যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে আমাদের ধরনা কর্মসূচি ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু, বাম সংগঠনগুলোর সদস্যরা আমাদের বাধা দিয়েছে। মেয়েদের হেনস্তা করা হয়েছে। শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। আসলে ক্যাম্পাস মদ-গাঁজা খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বুঝেই আমাদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।'

আরও পড়ুন- আচমকা বুকে ব্যথা! হাসপাতালে ভর্তি করাতেই হল সূর্যকান্ত মিশ্রকে

আর, রাজন্যা হালদার সাংবাদিকদের বলেন, 'এরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু, স্মারকলিপি জমা দিতে যাওয়ার পর আমাদের ওপর হামলা চালানো হল। জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। ওরা চায় না, ছাত্র মৃত্যুর জন্য দোষীরা যাতে শাস্তি পায়!' শুধু তৃণমূল ছাত্র পরিষদই নয়। বিজেপি যুব মোর্চাও যাদবপুরের ঘটনায় চার দিনের ধরনা কর্মসূচি নিয়েছে। যা ১৯ আগস্ট শেষ হবে।

SFI Jadavpur University TMCP
Advertisment