একাধিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। এর মধ্যেই এবার বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। শুধু বিজেপির নেতা-মন্ত্রীই নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি নিয়েও সোমবার প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রামেশ্বর তেলি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সৌমিত্র খাঁ, জগদম্বিকা পাল, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও অধিকারী পরিবারের নাম উল্লেখ করে তাঁদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও পার্থ ভৌমিক। এইসব নেতা, মন্ত্রী, সাসংসদের নামের ক্ষেত্রে কেন ইডি বা সিবিআই-এর নোস নেই, এদিন সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে।
শশী পাঁজার প্রস্নের জবাবে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, 'মন্ত্রীকে বলব এই নিয়ে আমার সুখোমুখি বসুন। ২০০২ সাল থেকে আমি ব্যবসা করি। ২০১১ সালে ১৮ লাখের সম্পত্তি ছিল। আর এতদিন আমি যে স্যালারি পেয়েছি তার দুই তৃতিয়াংশ আমার কাছে নেই। ফলে ওনাকে বলব নথি দিয়ে কথা বলুন। আমি প্রকাশ্যে আলোচনায় যোগ দেব। ওনার নেত্রী, নেতা চুরি করছেন বলেই আমাদের নামে যা তা বলবেন এটা হতে পারেন না।'
রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতি মামলার তদন্তের জন্য ইডি-সিবিআই-এর মতো সংস্থার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন শশী পাঁজা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যাতে অপব্যবহার না হয়, সেই দিকটি খেয়াল রাখার দাবি তুলেছেন শশী পাঁজা।
দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিছু তথ্য তুলে ধরে কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, এক বছরে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি ১০ কোটি টাকা হয়েছে। ১৬ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ১০ কোটি টাকা হয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল। কিন্তু কী ভাবে এক বছরের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেল? পাল্টা কুণাল ঘোষের প্রশ্নের জবাবে শিশির অধিকারীবলেছিলেন যে, 'সারদায় জেল খাটা আসামির প্রশ্নের জবাব দেব না, ১৯৬৮ সাল থেকে আয়কর দিচ্ছি, সমস্ত কিছু রেকর্ড আছে, যে কেউ চাইলে দেখে নিতে পারেন।'
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর শাসকদলের প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতারের পরেই তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারীরা।