করোনায় মৃত্যুহার জাতীয় গড়ের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে বেশি। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই কোমর্বিড ও বয়স্ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে বর্ষীয়ান করোনা রোগীদের সহয়াতায় কয়েক সপ্তাহ আগেই কল সেন্টারভিত্তিক পরামর্শদান পরিষেবা চালু করে রাজ্য স্বাাস্থ্য দফতর। আর তাতেই সাফল্য মিলছে বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের।
২৪ ঘন্টাই কলসেন্টার পরিষেবা চালু থাকছে। বর্ষীয়ান ও কোমর্বিড হলে করোনা রোগীরা কীভাবে থাকবেন, কি কি বিধি মানা উচিত তা বলে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে প্রথম খেরেই অভিযোগ ছিল। বর্তমানে তা কমলেও নির্মূল হয়নি। নির্দিষ্ট নম্বরে এখন ফোন করলে করোনা রোগীকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে এমনকী সেই প্রক্রিয়া কীভাবে সম্ভব তাও জানিয়ে দেওয়া হবে।
এই পরিষেবা চালুর পর গত কয়েক সপ্তাহে কোমর্বিড সংক্রমিত রোগী মৃত্যর হার কিছুটা কমেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের। 'ফোন মনিটারিং চলছে ২৪ ঘন্টা। ৫০ বছরের বেশি ও কোমর্বিড হলেই রোগীকে কি করণীয় ও করণীয় নয় সে সমন্ধে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সমস্যা থাকলে রোগীকে ডাক্তারের কাছেও পাঠানো হচ্ছে। প্রত্যেকদিন প্রায় ৫০০ করে ফোন আসছে।'
রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকের কথায়, 'এই উদ্যোগে লাভ হয়েছে। গত একমাস ধরে রাজ্যে সংক্রমণে দৈনিক মৃত্যুর হার ছিল ৬০। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে সেই সংখ্যায় লাগাম দেওয়া গিয়েছে। গৈনিক মৃত্যুহার এখন ৬০-এর কম।' করোনা আক্রান্ত বয়স্ক রোগীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধিমানবেন, প্রয়োজনে কোথায় ভর্তি হবে এইসব বিষয়ে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই অনেক দেরি হয়ে যেত। কিন্তু এখন এক ফোনেই এইসব সমস্যা থেকে রেহাই মিলছে। ফলে অসুস্থতার প্রথমেই আক্রান্ত কোমর্বিড রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ পাচ্ছে। ফলে কোমর্বিড বয়স্ক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে।
রাজ্যের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত বাংলায় ৭,১৭৭ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ শতাংশই কোমর্বিড। নিয়মিত এই পরিষেবা চালু থাকলে অনেক প্রাণ বেঁচে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুর্গাপুজোয় আশঙ্কা থাকলেও বাড়েনি সংক্রমণের হার। রাজ্যের ভূমিকার প্রশাংসা করেছে হাইকোর্ট। ১১ নভেম্বর তেকে আবার লোকাল ট্রেন চালু হবে। ফলে কল সেন্টার ভিত্তিক পরিষেবা চালু রাখতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এর পরিধি কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা চলছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন