Advertisment

হাতি এলেই বাজবে হুটার, স্বস্তির খবর পাহাড়বাসীর জন্য

হাতির গতিবিধি বুঝতে মহানন্দা অভয়ারণ্য লাগোয়া পুন্ডিং এলাকায় বসানো হলো কিছু বিশেষ সেন্সর। হাতি মৃত্যু রুখতে এবং পাহাড়বাসীকে স্বস্তি দিতেই এই সেন্সর বসানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
siliguri elephant story

হাতির দেখা মিললেই বেজে উঠবে হুটার। ছবি: সন্দীপ সরকার

বুনো হাতির গতিবিধি বুঝতে আর বিনিদ্র রজনী কাটাতে হবে না পাহাড়বাসীকে। এবার হাতির গতিবিধি বুঝতে মহানন্দা অভয়ারণ্য লাগোয়া পুন্ডিং এলাকায় বসানো হলো কিছু বিশেষ সেন্সর। হাতি মৃত্যু রুখতে এবং পাহাড়বাসীকে স্বস্তি দিতেই এই সেন্সর বসানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকায় বসানো সেন্সরের পরিসীমার মধ্যে কোনও বুনো হাতি চলেই আসা মাত্রই বেজে উঠবে হুটার, এমনটাই জানানো হয়েছে সোসাইটি ফর নেচার অ্যান্ড অ্যানিমেল প্রোটেকশনের (স্ন্যাপ) পক্ষ থেকে।

Advertisment

কীভাবে কাজ করবে এই হুটার?

জানা গেছে, স্বয়ংক্রিয় সেন্সরগুলি মহানন্দা জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে। সেন্সরের ২০০ মিটারের মধ্যে হাতি এলেই নিকটবর্তী ফরেস্ট বিট অফিসে সেটি হুটার বাজিয়ে জানান দেবে। এর ফলে বনকর্মীরাও যেমন হাতির গতিবিধি সম্পর্কে জানতে পারবেন, তেমনই লোকালয়ে যাতে হাতি না আসতে পারে তার যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়াও সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সাবধান হওয়ার সুযোগ পাবেন।

publive-image মোট ১২টি সেন্সর বসানো হল জঙ্গলে। ছবি: সন্দীপ সরকার

উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের জঙ্গলগুলি থেকে প্রতিদিনই খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে আসে হাতির পাল। নষ্ট করে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। ফলে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন বনবস্তির মানুষজন। এমনকি হাতির হামলায় প্রাণও যায় বহু মানুষের। এছাড়া মাঝে মধ্যেই ট্রেনে কাটা পড়ে ডুয়ার্সের জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসা হাতি। তাই হাতি মৃত্যু রুখতে এবং মানুষ-হাতি সংঘাত এড়াতেই মহানন্দা অভয়ারণ্যে কাজ করবে স্বয়ংক্রিয় সেন্সর।

আরও পড়ুন: ‘দিনের আলোয় রাতের জঙ্গল’, শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির অভিনব উদ্যোগ

পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে সোমবার মোট ১২ টি স্বয়ংক্রিয় সেন্সর বসানো হয়েছে সোসাইটি ফর নেচার অ্যান্ড অ্যানিমেল প্রোটেকশন-এর উদ্যোগে। মূলত মহানন্দা অভয়ারণ্য লাগোয়া পুন্ডিং বনবস্তি ও নিউ চামটা এলাকায় প্রাথমিকভাবে সেন্সর বসানো হয়। এর আগে গরুমারার জঙ্গলেও বসানো হয় বেশ কয়েকটি স্বয়ংক্রিয় সেন্সর। এবং সেগুলি সফলভাবেই কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ডিএফও (বন্যপ্রাণ) জিজু জ্যাসপার।

সোসাইটি ফর নেচার অ্যান্ড অ্যানিমেল প্রোটেকশনের পক্ষে কৌস্তুভ চৌধুরী বলেন, "আপাতত দু'জায়গা মিলিয়ে ১২ টি স্বয়ংক্রিয় সেন্সর বসানো হয়েছে। সফলতা পেলে ভবিষ্যতে আরও স্বয়ংক্রিয় সেন্সর মেশিন বসানো হবে।" তবে এই সেন্সর যন্ত্র বসানোর ক্ষেত্রে বনদফতর থেকে সাড়া মিললেও হাতি মৃত্যু রুখতে রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিকে এই স্বয়ংক্রিয় সেন্সর বসানোয় আশার আলো দেখছেন বনবস্তির বাসিন্দারা। সোমবার বিশ্ব হাতি দিবসের দিনে হাতি বাঁচাতে স্ন্যাপের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন বহু পরিবেশপ্রেমী মানুষও।

শিলিগুড়ির আরও খবর পড়ুন এখানে

siliguri
Advertisment