লকডাউনের 'আনলক-১' পর্যায়ে সমস্ত বিধি মেনেই সোমবার থেকে খুলল শপিং মল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খুলল শহরের সব শপিং মল। এদিকে লেকটাউনে এক বিজেপি নেতাকে দেখতে গিয়েই আক্রান্ত হন নিউটাউনের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। রাজ্যে প্রতিদিন সংক্রমণে রেকর্ড তৈরি হচ্ছে, মৃত্যুও বাড়ছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে আরও 'কঠোর বিধি' মানার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কোভিড ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি দিতে উপকারী ঔষধিগুণ সম্পন্ন হার্বস এবং মশলার পুর দিয়ে তৈরি হল 'ইমিউনিটি সন্দেশ'। আজ রাজ্যের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এক ঝলকে-
লকডাউনের 'আনলক-১' পর্যায়ে সমস্ত বিধি মেনেই সোমবার থেকে খুলল শপিং মল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খুলল শহরের সব শপিং মল।যেহেতু এখনও রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে সেই প্রেক্ষাপটে শপিংমল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা খুব বেশি লোককে ভিড় করতে দেবে না এখনই। আধঘন্টা পর পর চলছে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
শহরের একটি শপিং মলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সব চেষ্টাই করা হয়েছে। থার্মাল স্ক্রিনিং থেকে স্যানিটাইজার মেশিন বসানো হয়েছে। মলে মাস্কের ব্য়বহার আবশ্যিক। মানুষকে ছয় ফুট দূরত্ববিধি মানতে বলা হবে। দোকানদারদেরও বিধি মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' শহরের বেশ কয়েকটি মলে অডিও ভিসুয়াল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেগুলি এখনই চালু হচ্ছে না। ৫০ শতাংশ আসন নিয়ে ফুড কোট খোলায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন,
লেকটাউনে ‘তৃণমূলের হাতে’ আক্রান্ত সব্যসাচী
লকডাউনের বিধি নিষেধ শিথিল হতেই ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। লেকটাউনে এক বিজেপি নেতাকে দেখতে গিয়েই আক্রান্ত হন নিউটাউনের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত, এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও পদ্ম শিবিরের অভিযোগ এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল।
* সোমবার লেকটাউন এলাকায় সব্যসাচীকে দত্তকে ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল দুপক্ষেরই ঝামেলা বাধে বলে খবর।
* এই ঘটনায় আহত হয়েছেন সব্যসাচী নিজেও। তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
* ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত এক সিআইএসএফ জওয়ানও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। এই মুহুর্তে একাধিক আঘাত নিয়ে সল্টলেকের হাসপাতালে ভর্তি আছেন ওই জওয়ান।
রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন,
করোনা কমাতে আরও 'কঠিন বিধি' জারি করতে সরকারকে পরামর্শ রাজ্যপালের
রাজ্যে প্রতিদিন সংক্রমণে রেকর্ড তৈরি হচ্ছে, মৃত্যুও বাড়ছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে আরও 'কঠোর বিধি' মানার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যেভাবে লকডাউনের 'আনলক-১' পর্যায়ে ক্রমশও ছড়াচ্ছে করোনা সেই আবহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জগদীপ ধনকড়।
* টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে ধনকড় লেখেন, রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে কোভিড পজিটিভের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যুও। বাংলায় অশনি সংকেত বাড়ছে।
* রাজ্যপাল বলেন রাজ্যর মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত রাজ্য প্রশাসনের।
* "৬ জুন একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে বাংলায়। বিপর্যয় এড়াতে প্রোটোকল বিধি জারি করা প্রয়োজন।"
* "রাজনীতি করে নয় জনস্বার্থে কঠোর বিধি জারি করা উচিত"।
* রাজ্যপালের এই সুরের বিরোধিতা করে তৃণমূল জানায় যে বিজেপি শাসিত গুজরাটে কোনও করোনা পরীক্ষাই হচ্ছে না। বাংলায় তো তাও হচ্ছে।
* ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য, "পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন টেস্ট হচ্ছে করোনার। আগে পরীক্ষা করতে সময় লাগছিল কারণ কেন্দ্র থেকে সঠিক কিট পাঠানো হয়নি তাই।"
রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন,
করোনার সঙ্গে লড়াই করতে 'ইমিউনিটি সন্দেশ' তৈরি কলকাতায়
করোনার দাপট এখনও জারি রয়েছে কলকাতায়। তাই কলকাতাবাসীকে এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি দিতে উপকারী ঔষধিগুণ সম্পন্ন হার্বস এবং মশলার পুর দিয়ে তৈরি হল 'ইমিউনিটি সন্দেশ'। বাঙালির রসনায় এবার শক্তি জোগাতেই এই বন্দোবস্ত করেছে শহরের প্রখ্যাত মিষ্টির দোকান বলরাম মল্লিক এবং রাধারমণ মল্লিক।
গত সপ্তাহেই এই মিষ্টি তৈরি করেছিলেন তাঁরা আর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই 'ইমিউনিটি সন্দেশ' বিকোচ্ছে একেবারে 'হট কেক'-এর মতো। জানা গিয়েছে ১৪টি আয়ুর্বেদিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে এই সন্দেশ। এই সন্দেশ তৈরি হয়েছে তুলসি, যষ্টিমধু, তেজপাতা, হলুদ এবং মশলার মধ্যে রয়েছে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি, জায়ফল, কেশর এবং কালোজিরে। তবে নামে মিষ্টি হলেও চিনির ব্যবহার করা হয়নি সন্দেশটিতে। নেই কোনও বাড়তি রঙ।
মিষ্টিপ্রিয় বাঙালির মনে প্রশ্ন জাগছেই যে মিষ্টিই যদি না থাকে তাহলে আর সন্দেশ হল কী করে? বলরাম মল্লিকের কর্ণধার সুদীপ মল্লিক বলেন, "আমরা গুড় কিংবা চিনি কোনওটাই ব্যবহার করছি না। এই মিষ্টির ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করছি হিমালয়ান মধু।" তিনি আরও বলেন, "এখনও করোনা মহামারীর কোনও ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। তাই আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হল দেহে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ভারতীয় আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এই উপাদানগুলির কথা বলা আছে। তবে হ্যাঁ এগুলি দিয়ে যে মিষ্টি বানানো সম্ভব এটা কেউ ভাবেনি।"
কত দাম এই মিষ্টির? প্রতিটি পিস ২৫ টাকা। যদিও চাহিদা অনুযায়ী এখন বানানো হচ্ছে এই মিষ্টি। যেহেতু চাহিদাও বেড়েছে এখন তাই জোরকদমে চলছে 'ইমিউনিটি সন্দেশ' তৈরির কাজ।
Read the story in English
রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন,
কলকাতায় ৭৭ দিন পর খুলল শপিং মল-রেস্তোরাঁ
দোকান, বাজার, ধর্মস্থান আগেই খুলেছিল। আজ, সোমবার নিয়ম-বিধি শিথিলের দ্বিতীয় পর্যায়ে খুললো সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিং মল রেস্তরাঁ। ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি অফিস খুললেও দূরত্ববিধি বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর দফতর জীবাণুমুক্ত করতে বলা হয়েছে। একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বেসরকারি অফিসগুলোকেও। খুব প্রয়োজন ছাড়া বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধা, প্রসূতি ও শিশুদের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে সরকারি বাস পথে নামলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য়। ভাড় নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে চলেনি বেসরকারি বাস। ফলে যান যন্ত্রণা তীব্র হয়েছিল। পরে ভাড় নির্ধারণ নিয়ে রেগুলেটরি কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার। আজ থেকে বেশি সংখ্যায় বেসরকারি বাস, মিনিবাস পথে চলানোর আশ্বাস দিয়েছে বাস মালিকদের সংগঠন। তবে, বেলা যত বাড়ছে স্পষ্ট হচ্ছে যে সেই সংখ্যাও পর্যাপ্ত নয়। যাতায়াতে বেগ পেতে হচ্ছে যাত্রীদের। চাহিদার কথা মাথায় রেখে আগেই অবশ্যই ক্যাব ট্যাক্সি ও অটোয় আসনের সংসংখ্যক যাত্রী তোলায় ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে টানা আড়াই মাস লকডাউন শেষ এদিন শুরু থেকেই শহরের বুকে বহু গাড়ি বেরিয়েছে। যার দরুন যানজটও হচ্ছে।
আজ থেকেই খুলেছে হোটেল। বেশ কয়েকটি হোটেলে ডিজিটাল মেনু কার্ড, পুনরায় অব্যবহার্য বাসন ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানেও সামাজিক দূরত্ব-বিধি মানা হচ্ছে। বিল মেটানোর ক্ষেত্রেও অনলাইন ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বাংলাজুড়ে করোনা বৃদ্ধির হার উর্ধ্বমুখী। এদিকে আজ থেকে কাজের পরিসরও বাড়ছে। ফলে আতঙ্কের মধ্যেই কাজে বেরোচ্ছেন মানুষ। সতর্ক থেকে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Read in English
দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ বাংলার খবরগুলি পড়ুন এই প্রতিবেদনে