বোধনের বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু, উৎসবের শুরুর দর্শনার্থীদের উৎসাহের কাছে পরাজিত হয়েছে বর্ষাসুর। সপ্তমীতেও বৃষ্টির পূর্বভাস থাকলেও তা হয়নি। অষ্টমীতে সুখবর। প্রতিমা দর্শনে আর তেমন বাধা হবে না অকাল বৃষ্টি। ইতি-উতি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও তা মোটেই দক্ষিণবঙ্গের দর্শনার্থীদের আনন্দ মাটি হতে দেবে না বলেই পূর্বভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। তবে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বভাস, ঘূর্ণাবর্তের নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। বর্তমানে বৃষ্টি হলেও আগামিকাল অর্থাৎ ৪ঠা অক্টোবর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও কমবে। বর্তমানে ঘূর্ণাবর্ত উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। সেখানে একটি অক্ষরেখাও তৈরি হয়ে রয়েছে। এর জেরে আজ (সোমবার), আগামিকাল (মঙ্গলবার)এবং পরশু (বুধবার) উত্তরবঙ্গের উপরিভাগের পাঁচটি জেলা (দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়া, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি কিছুটা বাড়বে। কমবে তাপমাত্রা।
যদিও দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৩-৪ দিন মেঘলা আকাশ বজায় থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। একটু বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলীয় জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। বৃষ্টি হবে লাল মাটির জেলা বীরভূমেও ৷ দক্ষিণের অন্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতায় তেমন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করে হাওয়া অফিস । যদিও আকাশ মেঘলা থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
বৃষ্টির জেরে কলকাতার তাপমাত্রা বে খানিকটা কমে যাবে। দিনের বেলা উষ্ণতা ৩১ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে৷ রাতের তাপমাত্রা কমে হবে প্রায় ২৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি।
সপ্তমীতে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতা ৯৫ শতাংশ। গত চব্বিশ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৩২.১ মিলিমিটার।