চৈত্রেই অনুভূত হচ্ছে ভরা বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের দহন জ্বালা, অস্বস্তিকর আবহাওয়া। বাড়ছে পারদ। আগামী চারদিন রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রা আরও বাড়তে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আশনি-র জেরে আগামী সোমবার থেকে বাংলার আবহাওয়া বদলাতে পারে।
মহাগনগরের উষ্ণতা ঊর্ধ্বমুখী। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতার তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিতের ১ ডিগ্রি বেশি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। ফলে হোলির দিন রোদ ঝলমলে আবহাওয়া উপভোগ করতে পারবেন শহরবাসী।
গরম বাড়ায় দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ নাজেহাল অবস্থা। পশ্চিমের জেলাগুলিতে দিন দুয়েকের মধ্যেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে। উত্তরবঙ্গেও পারদ উঠছে। আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে দিনের তাপমাত্রার তেমন পরিবর্তন হবে না, যেমন আছে তেমনিই চলবে।
আরও পড়ুন- বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত হচ্ছে ‘অশনি’, জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস
এদিকে আর দিন কয়েকের মধ্যে এ বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় অশনি ধেয়ে আসতে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর গত মঙ্গলবার একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা ত্রমেই উপরসাগর অঞ্চলে আন্দামানের কাছাকাছি এসে শক্তি সঞ্চয় করবে। পরে ১৯ মার্চ এই নিম্নচাপটি দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে এটি স্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে।
রবিবার এরপর নিম্নচাপটি ক্রমেই উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। ২১ মার্চ, অশনি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পশ্চিম মুখী হয়ে এগোবে। এরপর সেটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে বলে পূর্বভাস। আগামী বুধবার ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের স্থলভাগের প্রবেশ করতে পারে।
এখনও পর্যন্ত আবাহওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে এগোনোয় প্রচুর জলীয় বাষ্প বাংলার উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঢুকতে পারে। তার জেরেই কিছুটা বদলাতে পারে আবহাওয়া। তবে বিরাট কোনও প্রভাব এ রাজ্যের উপর পড়বে না।