Advertisment

আজ বাংলার সেরা খবর: পদ্মের ‘অপপ্রচারে' পাল্টা তৃণমূল-বিধাননগরে মা-মেয়ের রহস্য মৃত্যু-এবার করোনায় 'নিয়ম বদল'

করোনা-আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব বিজেপি। ইতিমধ্যেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারও শুরু করেছে তারা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিরোধীদের 'মিথ্যা' প্রচারের ২৯৪ আসনেই সংকটে মমতা সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরবে জোড়া-ফুল শিবির, জানিয়েছেন দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, সল্টলেকের বি.ই. ব্লকে বৃদ্ধা মা ও মেয়ের জোড়া মৃত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের নিয়মে বদল আনল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এক নজরে দেখে নিন আজ বাংলার সেরা খবর:

Advertisment

পদ্মের ‘অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে এবার পাল্টা প্রচারে জোড়া-ফুল শিবির

publive-image

পরের বছরই বিধানসভা ভোট। তার আগেই করোনা-আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব বিজেপি। ইতিমধ্যেই মমতা সরকার বিরুদ্ধে প্রচারও শুরু করেছে তারা। যা ভোঁতা করতে এবার পাল্টা প্রচারে জোর দিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিরোধীদের 'মিথ্যা' প্রচারের ২৯৪ আসনেই সংকটে মমতা সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরবে জোড়া-ফুল শিবির। জানিয়েছেন দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলনেত্রীই প্রচারের রূপরেখা নির্ধারণ করে দিয়েছেন বলে জানান পার্থবাবু।

আমফান ত্রাণ বিলিতে যাতে দুর্নীতি না হয় তার জন্য দলীয় নেতৃত্বকে আগেই সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শুক্রবারই জেলা নেতৃত্বহের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে সংগঠনে কঠোর আইন-শৃঙ্খলায় জোর দিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে ২১শের বিধানসভাকে মাথায় রেখেই ঘর গুছনোর কাজে নেমে পড়েছেন মমতা। আপাতত ব্লকে ব্লকে, বিধানসভাস্তরে বিজেপির 'ভুয়ো' প্রচারের প্রতিবাদ ও তৃণমূল সরকারের কাজ মানুষের সামনে প্রচার করবে শাসক শিবির।

তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, 'মমতাই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি রাস্তায় মেনে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাও বিজেপি রাজ্য় সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে তৎপর। সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর রটাচ্ছে। তাই পাল্টা প্রচারের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সোশাল মিডিয়াতেও চলবে জোরদার প্রচার।'

তবে এই প্রচার কর্মসূচি আগামী বিধানসভা ভোটের কথা বিবেচনা করে বলে মানতে রাজি নয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোটের চার মাস আগে থেকে প্রচারে ঝাঁপাবে বলে জানিয়েছেন শাসক দলের নেতারা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

বিধাননগরে মা-মেয়ের রহস্য মৃত্যু, ঘর থেকে উদ্ধার দেহ

Tripura Covid Suicide বিধাননগরে মা-মেয়ের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

সল্টলেকের বি.ই. ব্লকে বৃদ্ধা মা ও মেয়ের জোড়া মৃত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃতদের নাম পাপিয়া দে (৭৯) ও শর্মিষ্ঠা কর পুরকায়স্থ (৬০)। শর্মিষ্ঠাদেবী রাজ্যের বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্তের প্রাক্তন স্ত্রী। বাড়ির দু’টি আলাদা ঘর থেকে শর্মিষ্ঠাদেবী ও তাঁর মা পাপিয়া দের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। কী কারণে মৃত্যু এখনও তা স্পষ্ট হয়নি। তদন্ত শরু করেছে বিধাননগর কমিশনারেট।

পুলিশ সূত্র খবর, আত্মীয়রা গত কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধা মা ও মেয়ের খবর না পেয়ে কমিশনারেটে ফোন করেন। এরপর রবিবার সকালে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ বি.ই. ব্লকে পাপিয়া দেবীর বাড়িতে যান। ঘর ভেঙে দেহ উদ্ধার করা হয়।

* গত দু'দিন ধরে পাপিয়া ও শর্মিষ্ঠা কর পুর কায়স্তর খোঁজ মিলছিল না।
* শনিবার রাতে বিধাননগর কমিশনারাটে খবর দেন আত্মীয়রা।
* রবিবার সকালে সল্টলেকের বি.ই. ব্লকে যায় বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ।
* ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।
* পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
* প্রথমে বিধান নগর হাসপাতাল, পরে ময়না তদন্তের জন্য দেহ আর জি করে পাঠান হয়।

পুলিশ জানতে পেরেছে, গত কয়েকদিন ধরেই পাপিয়া দে ও শর্মিষ্ঠা কর পুরকায়স্ত অসুস্থ ছিলেন। জ্বর, সর্দি, কাশি ছিল তাঁদের। কয়েকদিন আগেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাঁরা। তাই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু কিনা তা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। দেহে ক্ষতের চিহ্ন না মিললেও আত্মহত্যা কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

নিয়মে বদল, এবার করোনায় মৃতদের দেহ দেখতে পাবেন আত্মীয়রা

publive-image করোনা আক্রান্তের দেহের সৎকার, স্বাস্থ্য দফতরের নিয়মে বদল

করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের নিয়মে বদল আনল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এবার থেকে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা যাতে দেহ দেখতে পান তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত মৃতের আত্মীয়দের কাছে যাতে খবর পৌঁছায় তার জন্য়ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব নিয়ম হাসপাতালগুলোকে কঠোরভাবে পালন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। শনিবারই এই মর্মে স্বাস্থ্য দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

এতদিন কোভিড-১৯-য়ে মৃত্যু হলে রোগীর দেহ সৎকারের আগে পরিবারের লোকেরা দেখতে পেতেন না। যাকে কেন্দ্র করে বিস্তর অভিযোগ ছিল। এবার অবশ্য তার সমাধান হল বলেই মনে করা হচ্ছে।

* করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ নির্দিষ্ট স্থানে আধঘন্টা রাখবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
* মৃত্যুর এক ঘন্টার মধ্যে পরিবারের লোকেদের খবর দেবে হাসপাতাল।
* সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন মৃতের আত্মীয়রা।
* মৃত্যু এক ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালের তরফে রোগীর পরিবারের কাছে খবর পৌঁছতে হবে।
* আগে যে আবরণ দিয়ে মৃতদেহ ঢাকা হতে এখন আর তা চলবে না।
* এবার মৃতদেহের মুখ স্বচ্ছ আবরণ দিয়ে ঢাকা থাকবে।
* মৃতের আত্মীয়দের মাস্ক ও গ্লাভস দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
* স্থানীয় প্রশাসন অন্তেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

এর আগে করোনা মৃতদেহ সৎকার নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মৃত্যুর পর রাজ্যে যেভাবে মৃতদেহ সৎকার হচ্ছে তা সংবিধান বিরোধী, পরিবারের কাছে অত্যন্ত বেদনার, অশ্রদ্ধার বলে আবেদনে জানানো হয়। মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ারও আর্জি জানানো হয়। এ বিষয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। শ্রদ্ধার সঙ্গে দেহ সৎকারের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের নিয়মে বদল ঘটাল স্বাস্থ্য দফতর। Read in English

পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, গাইঘাটা থানায় অবস্থানে দুই বিজেপি সাংসদ

publive-image গাইঘাটা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও শান্তনু ঠাকুর।

বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা সহ তিন জনকে মিথ্যা অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। এই অভিযোগেই শনিবার রাতে গাইগাটা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন দুই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও শান্তনু ঠাকুর। রাতভর থানার সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ চালান তাঁরা। পরে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা অপর্ণা মণ্ডলকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁর স্বামী ও গাড়ির চালককে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন, 'বাংলায় গণতন্ত্র নেই। পুলিশই মহিলাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। তাই আটক দুই ব্যক্তির মুক্তি ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবিতে থানার সামনে অবস্থান চলবে।'

* শনিবার সন্ধ্যায় বকচাড়া পারোইপাড়া এলাকায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়।
* পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে যান স্থানীয় বকচরা ফুলসারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা অপর্ণা মণ্ডল।
* থানায় এসে অপর্ণা মণ্ডল ও তাঁর স্বামী, গাড়ির চালক অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ পুলিশের।
* গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা অপর্ণা সহ তিন জনকে আটক করে পুলিশ।
* পরে দুই বিজেপি সাংসদ থানায় এলে অপর্ণাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু, কেন অপর্ণাকে আটক করা হল? দলের বাকিদেরই কেন ছাড়া হবে না? এই দাবিতে শনিবার রাতে প্রায় জনা পঞ্চাশ দলীয় কর্মী, সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে গাইঘাটা থানার সামনে অবস্থানে বসেন সৌমিত্র খাঁ ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাংলায় গণতন্ত্র নেই বলে সরব বিজেপি। বকচরা ফুলসারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যাকে আটকের ঘটনায় সেই অভিযোগেই ফের সুর চড়ালেন পদ্ম শিবিরের রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি।

আজকের দিনের রাজ্যের সব গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন এই প্রতিবেদনে

tmc bjp Mamata Banerjee west bengal politics West Bengal corona
Advertisment