বাবা মারা গিয়েছেন মাত্র দিন ছয়েক আগে। আর কাতকালীয় ভাবে সেদিন থেকেই যেন ভাগ্যলক্ষ্মী ভর করেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের এক্তারপুর গ্রামের মধুসূদন জানার (৩৬) ওপর। পেশায় টোটোচালক যুবক গত ৬ দিন ধরেই একের পর এক লটারির পুরষ্কার জিতে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসীর। সব শেষে তাঁর ঝুলিতে এল ১ কোটি বিজেতার পুরষ্কার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিয়ার লটারির শেষ খেলায় প্রথম পুরষ্কার জিতেছেন ওই যুবক। যাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
টোটো চালানোর ফাঁকে প্রায়শই লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য অন্বেষণের চেষ্টা চালান মধূসুদন। মাঝে মধ্যেই সামান্য পুরষ্কার আসত। তবে হাল না ছেড়ে নিয়মিত লটারির টিকিট কেটে যেতেন তিনি। এরপর গত ৬ দিন আগে মধূসুদনের বাবার মৃত্যু হয়। আর সেদিনই কাকতালীয় ভাবে লটারিতে ৪ হাজার টাকা পুরষ্কার আসে মধূসুদনের। পরের দিন ১২০০ টাকা, তারপর দিন ৬০০ টাকা, পরের দিন আবারও ১২০০টাকা। এভাবেই বৃহস্পতিবার মধূসুদনের ঝুলিতে এল ১ কোটি টাকার পুরষ্কার।
শোকার্ত পরিবারে ১ কোটির পুরস্কারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। স্থানীয়রা ভীড় জমান ওই পরিবারে। মধূসুদন বলেন, 'বাড়িতে শোকের পরিবেশ। এই অবস্থাতেও লটারিতে পুরষ্কার জিততে শুরু করি। প্রায় প্রতিদিনই লটারিতে পুরষ্কার জিততে থাকায় টিকিট কাটা বন্ধ করিনি। তবে একেবারে ১ কোটি টাকা পুরষ্কার পাব এটা কোনওদিন ভাবিনি। এই টাকায় আমার পরিবারের দূরাবস্থা কাটবে বলেই আশা করছি।'