ফের কাঁকড়া খেয়ে পর্যটকের মৃত্যু। চাঞ্চল্য তুঙ্গে দিঘায়। বেড়াতে গিয়ে হোটেলে পাত পেড়ে কাঁকড়া খাওয়ার পরপরই শরীরে তীব্র অস্বস্তি বৃদ্ধের। ছটফটানি বাড়তে থাকায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা সুদীপ মুখোপাধ্যায়।
গত শনিবার সপরিবারে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন সুদীপ মুখোপাধ্যায় নামে ওই বৃদ্ধ। সোদপুরের পানিহাটির শুকচার ১৩৯ নরসিংহ দত্ত ঘাট রোডের বাসিন্দা সুদীপবাবু। রবিবার দিঘা থেকে তাঁরা গিয়েছিলেন তাজপুরে। সেখানে দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া সেরে সমুদ্র স্নানে নামেন তাঁরা। কিন্তু সমুদ্রে নামতেই শরীরে বেজায় অস্বস্তি শুরু হয় বৃদ্ধের। অসুস্থতা বাড়তে থাকায় দিঘা হাসপাতালে তাঁকে আনা হয়।
হাসপাতালে আনা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন বৃদ্ধকে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রবিবার দুপুরে তাজপুরের হোটেলে কাঁকড়া খাওয়ার পর থেকেই সুদীপবাবুর শরীর বেজায় খারাপ হতে শুরু করে। যদিও এখনও পর্যন্ত বৃদ্ধের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাতে পারেননি চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- আজও একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট
অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশ। ওসি অমিত দেব জানিয়েছেন, কাঁকড়া খাওয়ার পরেই ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দিঘায় বেড়াতে এসে কাঁকড়া খেয়ে এর আগেও একাধিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে কাঁকড়া খেয়ে দিঘায় পরপর দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও ওই দুই পর্যটকেরই অ্যালার্জির ধাত ছিল বলে জানা গিয়েছে। কাঁকড়া খাওয়ার পর তাঁদের মুখে-ঠোঁটে অস্বস্তি শুরু হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়। কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের কাঁকড়া খাওয়ার পরপরই অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমুদ্র নগরীতে।