সিকিমের পরিস্থিতি এখনও বেশ দুরূহ। বহু চেষ্টাতেও আটকে থাকা সব পর্যটকদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি। আবহাওয়ার প্রতিকূলতার জেরে পদে পদে উদ্ধারকাজে বাধা আসছে বলে সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর মিলেছে। খারাপ আবহাওয়ার জেরে হেলিকপ্টার নামিয়েও উদ্ধারে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তবে পর্যটকরা যেখানে যেখানে আটকে রয়েছেন সেখানে প্রয়োজনীয় সবরকম ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সিকিম সরকার।
সিকিমের লোনাক হ্রদ ফেটে জল বেরিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার মারাত্মক আঁচ পড়েছে এরাজ্যের উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ প্রান্তে। পাহাড়ি পথে জলের তোড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে বহু বাড়ি-ঘর। সেনা-জওয়ান থেকে শুরু করে সিকিমের মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বলি হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আপাতত পর্যটকদের সিকিম এড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে এখনও সিকিমের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। সংখ্যাটা হাজার চারেকেরও বেশি হতে পারে।
গ্যাংটক, পেলিং থেকে প্রচুর সমর্থক সমতলের দিকে নেমে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। যদিও উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুংয়ে আটকে থাকা সব পর্যটকদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে। অবিরাম বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়ার সার্বিক প্রতিকূলতার জেরে উদ্ধারে পদে পদে বাধা আসছে। বায়ুসেনার কপ্টারকেও ঠিক মতো উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে অনুকূল হলেই তাঁদের উদ্ধারে অলআউট অভিযানের পরিকল্পনা সরকারের।
যদিও আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারে সর্বোতভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে সিকিম সরকার ও ভারতীয় সেনাবাহিনী। সিকিম ফেরত এরাজ্যের পর্যটকদের নিরাপদে তাঁদের বাড়িতে ফেরাতে জোরদার তৎরপতা চলছে শিলিগুড়িতেও। 'হেল্প ডেস্ক' খোলা হয়েছে শিলিগুড়িতে।
এদিকে, সিকিমের বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক আঁচ পড়েছে এরাজ্যের উত্তরবঙ্গেও। তিস্তার দু'পাড়ের বহু মানুষ আজও ঘরছাড়া। কালিম্পঙের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হড়পা বাণে কালিম্পঙের ক্ষতিগ্রস্ত কালিম্পঙের এলাকাগুলি ঘুরে দেখেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষদের সরিয়ে ত্রাণ শিবিরগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যার জেরে জিটিএ এলাকার বিস্তীর্ম প্রান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকারের তরফে জিটিএ-কে আর্থিকভাবে সাহায্য করা হয়েছে।