Monsoon-North Bengal: বেড়ানোর তালিকায় উত্তরবঙ্গ বরাবরই বাঙালির অন্যতম সেরা চয়েজ। উত্তরবঙ্গের নজরকাড়া একাধিক পর্যটন কেন্দ্র যেন হৃদয় জুড়িয়ে দেয়। তবে এবার উত্তরবঙ্গ নিয়েই মন খারাপ করা এক খবর। এই বর্ষায় উত্তরবঙ্গে যারা বেড়াতে যাবেন ভাবছেন, তাঁদের জন্য এই খবরটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্ষায় উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকার বেশ কিছু জায়গায় ধ্বস নেমেছে। উত্তরবঙ্গের দুই পার্বত্য জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ টয় ট্রেন পরিষেবা। জানা গিয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত দার্জিলিঙে টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। যে রাস্তা দিয়ে টয় ট্রেন চলাচল করে সেই রাস্তার দিকে দিকে ধ্বস নেমেছে। তাই পর্যচকদের সুরক্ষার স্বার্থেই বন্ধ রাখা হয়েছে পরিষেবা। রক গার্ডেন-সহ দার্জিলিঙের কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রও দিন কয়েকের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকার বেশ কিছু জায়গায় ধ্বস নেমেছে। এই ধ্বসের জেরে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপাতত ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে শর্তসাপেক্ষে কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের অনুমতি মিলছে।
আরও পড়ুন- Arnab Dam: জেলে থেকেই সোনার ইতিহাস! এক বিজ্ঞপ্তিতেই একদা মাওবাদী অর্ণবের স্রোতে ফেরার স্বপ্ন চুরমার
দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন পরিষেবার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েজ কর্তৃপক্ষের। তাদেরও টয়ট্রেনের লাইনের পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে সে ব্যাপারে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত টয় ট্রেনের লাইনের কিছু জায়গায় নামা ধ্বস সারানোর কাজ চলছে। সেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Attack in School: স্কুলে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর, মহিলাদেরও মারধরের অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান
পাহাড়ে একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে পর্যটকদের জন্য বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের কয়েকটি টুরিস্ট স্পট বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়াও পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের সতর্ক থাকতেও পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। পাহাড়ি উঁচু এলাকা ছেড়ে পর্যটকদের সমতলে নেমে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।