Advertisment

পুরসভার বিশেষ উদ্যোগে ট্রেড লাইসেন্স জট কাটল হাওড়ায়

দীর্ঘদিন ধরেই ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ করতে মাথার ঘাম পায়ে পড়ছিল ব্যবসায়ীদের, পাওয়া যাচ্ছিল না ব্যবসার অনুমতিপত্রও। সেই সমস্যা দূর করতে এবার ব্যবসায়ীদের পাশে এসে দাঁড়াল হাওড়ার পুর প্রশাসকমন্ডলী

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
পুরসভার বিশেষ উদ্যোগে ট্রেড লাইসেন্স জট কাটল হাওড়ায়

ব্যবসার জট কাটাতে উদ্যোগী পুরসভা। ছবি- অরিন্দম বসু

ট্রেড লাইসেন্স দুর্ভোগ যেন হাওড়ার 'ট্রেন্ড' হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ করতে মাথার ঘাম পায়ে পড়ছিল ব্যবসায়ীদের। তবু পাওয়া যাচ্ছিল না ব্যবসার অনুমতিপত্র। এবার সেই সমস্যা দূর করতে ব্যবসায়ীদের পাশে এসে দাঁড়াল হাওড়ার পুর প্রশাসকমন্ডলী। 'অটো রিনিউয়াল' প্রক্রিয়ায় শুরু হল ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণের কাজ। ২০১৮ সালের পর থেকেই পুরনিগমের দফতরে রীতিমতো ছোটাছুটি করে ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ করাতে হত ব্যবসায়ীদের। সেই সমস্যা সমাধানেই এবার উদ্যোগী পুর প্রশাসকমন্ডলী।

Advertisment

আরও পড়ুন- ২০০ বছরের পুরানো ছাপাখানার খোঁজ মিলল হাওড়ায়

উল্লেখ্য, ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণের ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কয়েকটি ধাপ। প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিয়ে, বেশ কিছু তথ্য যাছাই করে তবেই দেওয়া হত ট্রেড লাইসেন্স। এমনকী, ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্ত কিছু পরিদর্শন করে খতিয়ে দেখে তবেই ব্যবসার ছাড়পত্র দিত পুরনিগম। নতুন হোক কিংবা পুরানো, সব ব্যবসার ক্ষেত্রেই মানা হত এই পদ্ধতি। সেই জট কাটাতে প্রশাসকমন্ডলীর বৈঠকে স্থির হয় যে, বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে পরিদর্শন ছাড়াই ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ করা হবে। হাওড়ার পুর প্রশাসক তথা পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ বলেন, "কয়েকটি ক্ষেত্রে পরিদর্শন ছাড়াই ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ করা হবে। 'অটো রিনিউয়াল প্রসেসে' কাজ করা হলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি হবে না। এর ফলে নবীকরণের জন্যে জমে থাকা ট্রেড লাইসেন্সের মধ্যে প্রায় ১৫-১৬ হাজার লাইসেন্স এই পদ্ধতিতেই রিনিউ হয়ে যাবে"।

আরও পড়ুন- হাওড়া শহর থেকে উঠে যাচ্ছে ভ্যাট, দূষণ কমানোয় নয়া পদক্ষেপ পুরনিগমের

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূলের পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই ট্রেড লাইসেন্সের অনুমতি ঘিরে দুর্ভোগ বাড়ে। ২০১৮ সালের পর পুর নির্বাচন না হওয়ার দরুন নেই জনপ্রতিনিধিরাও। এরপর থেকেই ভোগান্তি বাড়ে ব্যবসায়ীদের, এমনটাই খবর। এমনকী পৌরসভার কাজের গতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এমন অবস্থায় ট্রেড লাইসেন্স জট কাটাতে পুর কমিশনারকেই প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর।

এরপর পুরনিগমের কাজে গতি আনতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ প্রাক্তন মেয়র, বিধায়ক এবং পুর কমিশনারকে নিয়ে গঠন করা হয় পুর প্রশাসকমন্ডলী। উল্লেখ্য, কারখানার শহর হাওড়ায় পুরনিগমের অচলাবস্থা চলাকালীন সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ীরাই। ব্যবসা করতে গেলে পৌরসভার যে অনুমতির প্রয়োজন হত, সেই অনুমতি বা ট্রেড লাইসেন্স পেতেই কেটে যাচ্ছিল দীর্ঘ সময়। পুরসভার অন্দরের খবর, জনপ্রতিনিধিদের অভাবে নতুন ট্রেড লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণের আবেদনের স্তুপে ঢেকে ছিল পুরনিগমের টেবিল। তবে দীর্ঘসূত্রিতা কাটিয়ে প্রশাসকমন্ডলীর সিদ্ধান্তে এবার হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে।

হাওড়া জেলার সব খবর পড়ুন এখানে

Howrah West Bengal
Advertisment