/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/04/rally-pic.jpg)
তৃণমূলের মিছিলের নেতৃত্বে সস্ত্রীক মন্ত্রী বেচারাম মান্না। ছবি: উত্তম দত্ত।
'দুর্ঘটনাপ্রবণ' রাস্তায় সাবওয়ের দাবিতে বিধায়ক স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মিছিলে মন্ত্রীমশাই। রাজ্যের শাসকদলের দুই নেতা-নেত্রীর নেতৃত্বে এই বিশাল মিছিলে দীর্ঘক্ষণ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে রইল দুর্গাপুর এক্সপ্রসেওয়ে। টানা কয়েক ঘণ্টার তীব্র যানজটে রবিবার নাকাল হলেন কাতারে-কাতারে গাড়িচালক ও যাত্রীরা।
হুগলির হরিপালের কানগই থেকে ডানকুনি পর্যন্ত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে 'দুর্ঘটনাপ্রবণ' জায়গা। প্রায়শই এই পথে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এই দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার পথের মধ্যে রাস্তা পারাপারের জন্য ১৫টি সাবওয়ের দাবিতে রবিবার সকালে মিছিল করে তৃণমূল। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওপর মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না। সহধর্মিনী তথা হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না ছাড়াও এদিন কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে বিশাল পদযাত্রা করেছেন বেচারাম।
আরও পড়ুন- খোদ পুলিশই গ্রেফতার ডাকাতির অভিযোগে, ধৃতদের একজনের পরিচয় জানলে চোখ কপালে উঠবে!
এই মিছিলের জন্যই এদিন সকালে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। মিছিলের জন্য এদিন সকালেই সিঙ্গুর থেকে ডানকুনি অবধি কলকাতা অভিমুখী রাস্তায় গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছিল। তারই জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
এদিন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, "দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩৫০০ মানুষ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ১৫০০ মানুষের অঙ্গহানি হয়েছে, ৬০০০ গবাদি পশু মারা গেছে রাস্তা পার হতে গিয়ে। কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। ২০২১ সাল থেকে আমরা এই সব দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু কেন্দ্র কিছু করছে না। সার্ভিস রোডও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। আগামী দিনেও আমাদের আন্দোলন চলবে।"