prawn farming: এলাকার মানুষের রোজগার বাড়াতে তাকলাগানো পদক্ষেপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয়দের কর্মোপযুক্ত করে তুলে আয়ের দিশা দেখাতে যুগান্তকারী এক তৎপরতা নিয়েছে ব্লক প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের দারুণ উৎসাহে খুশি এলাকাবাসীরাও। অল্পদিনেই এলাকার অনেক বেকার তরুণ-তরুণীও প্রশাসনের অভূতপূর্ব এমন তৎপরতায় সামিল হয়ে রোজগার (Income) করতেও শুরু করে দিয়েছেন।
মাছ-চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষে নন্দীগ্রাম (Nandigram) ১ নম্বর ব্লক এক নতুন দিশা দেখাতে শুরু করেছে। মাছ-চিংড়ি চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে আধুনিক চাষে। প্রায় পাঁচশো চাষিদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও গঠন করেছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগ। মাছ–চিংড়ি-কাঁকড়া চাষিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে মৎস্য গোষ্ঠী। আর এই মৎস্য গোষ্ঠীকে আধুনিক চাষে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে মৎস্য দফতর (Fisheries Department)।
নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডক্টর সঞ্জয় দাস আধুনিক চাষের বিষয়টি তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, তিন দিন ব্যাপী মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া চাষের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের সভাকক্ষে।
মোট দুটি ব্যাচে সতেরোটি মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠীর চারজন করে সদস্য-সদস্যা এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ শিবিরে ছিলেন বিডিও সৌমেন বনিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল কুমার সাহু, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ অসীমা দাস, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ স্বদেশ দাস ও ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু সহ অন্যান্যরা।
ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, "প্রশিক্ষণে একদিকে যেমন নোনাজলে ভেনামী চিংড়ি, কাঁকড়ার চাষ তেমনই মিষ্টি জলে রুই, কাতলা সহ অন্যন্য মাছের চাষের সাথে সাথে আরও বৈচিত্রময় মাছের আধুনিক চাষের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।" প্রশিক্ষণে যেমন মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তেমনই মৎস্য বিজ্ঞানীরাও চিংড়ির রোগের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিক উপায়ে মাছ চাষে গোষ্ঠীগুলির সদস্যদের যেমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তেমনই চাষে সহায়তা দেবে সরকার। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে সতেরোটি মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠী গঠিত হয়েছে।