এক আদিবাসী গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করল খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে ওই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। খোঁজ চলছে আরও এক অভিযুক্তের। ধৃতরা হল বিশ্বনাথ বির্জা, ভেলেন বির্জা, টিপরু বির্জা, প্রেম বির্জা। খোঁজ চলছে মাছু বির্জা নামে আর এক অভিযুক্তেরও। তার খোঁজে গোটা মহকুমা জুড়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে জেলা পুলিশ। শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। গোটা ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনা শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকার। জানা গিয়েছে,গত একমাস ধরে অভিযুক্ত পাঁচজন ওই গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছে। এতদিন ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে পারেননি ওই গৃহবধূ। পুলিশ সূত্রে খবর, আদিবাসী ওই গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বৃহস্পতিবার তিনি বাড়িতে ফিরলে গৃহবধূ গোটা ঘটনার কথা স্বামীকে জানান। এরপরেই গৃহবধূর স্বামী ওই অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলতে যান। অভিযোগ, ওই সময় অভিযুক্তরা গৃহবধূর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন, ধর্ষণ নয়, যৌনসম্পর্ক স্থাপনের পর খুন জলপাইগুড়ির কলেজছাত্রীকে
এরপরেই শুক্রবার সকালে খড়িবাড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে খড়িবাড়ির গাজিজোত এলাকা থেকে শুক্রবার রাতেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে পুলিশি ধরপাকড়ের খবর পেয়েই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অপর অভিযুক্ত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই গৃহবধূ বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। সেই সুযোগে গত একমাস ধরে রোজ রাতে মদ্যপ অবস্থায় পাঁচজন ঘরে ঢুকে মহিলাকে লাগাতার ধর্ষণ করে। কাউকে কিছু জানালে খুনেরও হুমকি দেওয়া হয় গৃহবধূকে।
অপর অভিযুক্তের খোঁজে শুক্রবার রাতেই আশেপাশের সমস্ত থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডি এস পি (গ্রামীণ) প্রবীর মণ্ডল বলেন,' লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এক জনের খোঁজ চলছে। মহিলার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। ধর্ষণ, খুনের হুমকি সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। '