TMC Protest Against SFI: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলা! তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ, SFI-এর বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর হামলার গুরুতর অভিযোগ। যদিও এসএফআই সেই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। পালটা এসএফ আইয়ের দাবি শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় বেশ কয়েকজন পড়ুয়া আহত হয়েছেন। শনিবারের ঘটনার পর দিনহাটা, দুর্গাপুরে সিপিএমের পার্টি অফিস ভাঙার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও শাসকদল সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী সোমবার রাজ্যের সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিল এসএফআই। ইতিমধ্যে গতকালের ঘটনায় যাদবপুর থানায় ৫টি FIR দায়ের করা হয়েছে। এদিকে গতকাল দুপুরের অশান্তির পর রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ তৃণমূল সমর্থিত 'শিক্ষাবন্ধু'র অফিসে হঠাৎ করেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। দমকলের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গতকালের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হুঁশিয়ারির সুরে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, 'যদি মনে হয়, এক মিনিট সময় লাগবে যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয় দখল করতে'। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, যারা শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলা চালায়, অধ্যাপকদের গায়ে হাত দেয় তাদের আমরা ছাত্র বলে মনে করি না'। এদিকে গতকাল রাতে আহত ছাত্রকে দেখতে কেপিসি মেডিকেল কলেজে গিয়ে আক্রান্ত হলেন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। অভিযোগ এক দল ছাত্র-ছাত্রী তেড়ে আসে তাঁর দিকে, উপাচার্যকে ধাক্কা দেওয়া হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর পরনের পাঞ্জাবিও।
শনিবার, সিপিআই(এম) ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং আইসা-(All India Students' Association (AISA) এর সমর্থকরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভ চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। WBCUPA-এর বৈঠক শেষে গাড়ি করে ক্যাম্পাস ছাড়ার সময় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক বিক্ষোভকারী। অভিযোগ সেই সময় মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাঁচও। এদিকে গতকালের ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
মন্ত্রীর বক্তব্য - 'এসএফআই নৈরাজ্য চেয়েছিল'
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "আমি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা কোনও আলোচনা চায়নি। তারা কেবল বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল।" মন্ত্রী বলেন, তিনি পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধির সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু বিক্ষোভকারীরা শান্ত হননি। ভাঙা কাঁচের আঘাতে আহত হন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁকে তড়ি ঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় তিনি বলেন, বুকে ব্যথার কারণে এক্স-রে করা হয়েছে, তবে কোনও গুরুতর আঘাত লাগেনি।
এসএফআই নেত্রী কৌশিকী ভট্টাচার্য অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, "আমরা কোনও হিংসার আশ্রয় নিইনি। তৃণমূল কংগ্রেসের বহিরাগতরা আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছে।"
টিএমসি এই আক্রমণকে 'ষড়যন্ত্র' বলে অভিহিত করেছে
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ যাদবপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএমকে নিশানা করে রাজ্যে অরাজকতা ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, "আমাদের ধৈর্য এবং সহনশীলতাকে আমাদের দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।"