Trinamool Congress functionary flogging a couple in public: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় তৃণমূল কর্মী তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবির বেত্রাঘাতের ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলা এখন বলছেন, 'আমাকে নিজের শর্তে বাঁচতে দিন।' ওই মহিলাকে 'প্রেমে পড়ার' জন্য প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
ওই মহিলা উত্তর দিনাজপুরের একটি বাড়ি থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই বাড়িতে তাঁকে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বাইরে পাহারায় আছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ। বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জননী ওই মহিলা জানান, পাঁচ বছর আগে তিনি অন্য একজনের প্রেমে পড়েছিলেন। প্রেম কি আর ভেবেচিন্তে হয়?'
কিন্তু, তারপরও তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কর্মী জনসমক্ষে ওই মহিলা ও তাঁর প্রেমিককে বেত্রাঘাত করেছেন। সেই ভিডিও প্রকাশের কয়েকদিন পরেই বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ৩৮ বছর বয়সি ওই মহিলা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জনসমক্ষে মারধর এবং অপমানিত হওয়ার অসম্মান তিনি তখনই ভুলতে পারবেন যখন নিজের শর্তে জীবন যাপন করতে পারবেন। মহিলাটি জানান, তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে প্রথমে গোপনে দেখা করতেন। অবশেষে যখন তাঁর স্বামী ঘটনাটি জানতে পারেন, তাঁকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এরপর ২৭ জুন তিনি প্রেমিকের সঙ্গে চলে যান। তাঁর প্রেমিক বিবাহিত। তাঁর বয়স ৩৫ বছর।
গ্রামের অনেকে সেই সময় বলতে শুরু করেন, 'এটা মানা যায় না।' ২৮ জুন, একটি 'সালিশি সভা' ডাকা হয়। সেখানেই প্রধান অভিযুক্ত টিএমসির তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি উপস্থিত ছিলেন। তিনি একটি কালো টি-শার্ট পরে এসেছিলেন। তাঁর হাতে ছিল বেত। সেখানেই তিনি কয়েক ডজন লোকের ভিড়ের মধ্যে ওই যুগলকে লাগাতার বেত দিয়ে মারধর করেন। মারের চোটে ওই যুগল যন্ত্রণায় মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছিল। ক্ষমাভিক্ষা চাইছিল। তারপরও ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- কীভাবে ঘটল হাথরসের ভয়াবহ পদদলিত হওয়ার ঘটনা? আসল সত্যিটা শিউড়ে ওঠার মত!
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি এই ধরনের 'শাস্তি এবং হামলার' আশঙ্কাই করছিলেন। তবে ভাবতে পারেননি যে ভিডিওটি ভাইরাল হবে। কিন্তু, তা ভাইরাল হওয়ায় তাঁর সুবিধাই হয়েছে। নির্যাতিতা বলেছেন, 'ভিডিওটি ছড়িয়ে না পড়লে কিছুই বদলাত না।' ওই ভিডিওর প্রেক্ষিতেই পুলিশ হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনেছে তাজিমুলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।