নবীন-প্রবীণ বিতর্ক নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রথমসারির নেতাদের অনেকেরই বয়স হয়েছে। তার মধ্যেই অনেকে যেন শিং ভেঙে বাছুরের দলে মেশার মত, যুবনেতা হওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু, তাতেও যেন তাঁদের মন থেকে খচখচানি যাচ্ছে না।
এই বিতর্ককে সম্প্রতি উসকে দিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'অন্যান্য পেশার মত রাজনীতিতেও বয়সসীমা থাকা উচিত বলেই আমি মনে করি। কাজের জন্যই তরুণদের দরকার। কারণ, বয়স বেড়ে গেলে কাজের ক্ষমতাও কমে যায়। কিন্তু, তারপরও অনেকেই যোগ্য যুবদের সামনে আসতে দেন না। এটা ঠিক না।'
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উসকে দেওয়া এই বিতর্কেই বুধবার জড়িয়ে গেলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কার্যত অভিষেকের নবীন-প্রবীণ নীতি নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি, দলের নীতিগত প্রশ্নে সেফ জোনে থাকতে এখনও নিজেকে বয়স্ক বলতে নারাজ ফিরহাদ।
বুধবার কলকাতার মেয়র তথা এই তৃণমূল নেতা বলেছেন, 'প্রবীণ বা নবীন, বড় কথা নয়। মানুষের কাছে যাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাঁকেই প্রার্থী বাছা উচিত। যেমন, এখনও ডায়মন্ডহারবারে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রকম অনেকেই আছেন, যাঁদের মানুষ গ্রহণ করেছেন, তাঁরাই প্রার্থী হবেন। নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমি নবীন আর প্রবীণের মাঝামাঝি, নিজেকে মধ্যবয়স্ক বলি।'
আরও পড়ুন- রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় নয়া গতি! তদন্তের ট্রাম্পকার্ড ইডি-র হাতে?
একথা বলার পাশাপাশি, কার্যত ঘুরিয়ে অভিষেকের সমালোচনা করে ফিরহাদ বলেন, 'আমাদের প্রকাশ্যে এসব কথা বলা উচিত না। যা, বলার দলের মধ্যেই বলা উচিত। দলে সকলের দরকার আছে। মানুষের কাছে কারও গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না, সেটাই শেষ কথা হওয়া উচিত। শোভনদা (শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়) যেমন খুবই কাজের। মদনদাও যথেষ্ট কাজ করেন। আর, সৌগতদা যেভাবে নিজের এলাকায় কাজ করেন, তাঁর কাছ থেকে শেখা উচিত।'