TMC Party Office: আদালতের নির্দেশে তৃণমূলের কার্যালয় ও একটি ক্লাব বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দিল প্রশাসন। পুরাতন মালদা পুরসভার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ওই দুটি ঘর ভেঙে ফেলে প্রশাসন। পুরাতন মালদা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সামুন্ডাই কলোনী এলাকার ঘটনা। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুমন দেবনাথ। পুলিশ ও পি ডব্লিউ ডি দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে নিয়ে ওই দুটি ঘর পিল অর্ডার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের রিড পিটিশন দায়ের করেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। তার ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট ঐ দুটি নির্মাণ ভেঙে ফেলা নির্দেশ দেন প্রশাসনকে।সেই নির্দেশ মতো আজ সকালে পুরাতন মালদা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয় ও একটি ক্লাব ঘর ভেঙে ফেলা হয়।
জানা গিয়েছে,তৃণমুলের দলীয় কার্যালয় ও ক্লাব ভাঙার অভিযানের প্রতিবাদ করেন সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সভাপতি অঞ্জন হালদার। তিনি জানান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পার্শ্ববর্তী পাম্প মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের দুটি পাকা ঘর ভাঙ্গা হচ্ছে অথচ মঙ্গলবাড়ী এলাকায় জাতীয় সড়কের দুই ধারে প্রচুর পাকা ঘর রয়েছে সেগুলি ভাঙ্গা হচ্ছে না কিন্তু শুধু আমাদের দুটি ঘর ভাঙ্গা হচ্ছে। এই দলীয় কার্যালয়ে এলাকার কাউন্সিলর সহ কর্মীরা ওঠাবসা করে এবং পাশেই এঙরি ইয়ান্স ক্লাবের ঘর রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে কিন্তু আজকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন : < Rath Yatra: দিঘায় রথযাত্রা নিয়ে বিরাট ঘোষণা! রথের চাকা গড়াবে কবে? স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী >
এই অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুমন দেবনাথ জানান, পাশে একটি পাম্প রয়েছে সেই পাম্প কর্তৃপক্ষ মহামান্য উচ্চ আদালতে ডিড করেছিল,তারই ভিত্তিতে আদালতের অর্ডার হয়েছে এবং সে অর্ডার মালদা সদর মহকুমা শাসককে পাঠানো হয়েছিল ,যেন দেড় মাসের মধ্যে অবৈধ দুটি পাকা ঘর ভেঙে ফেলা হয়।মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে আজকে এই দুটি অবৈধ পাকা ঘর ভাঙ্গা হচ্ছে।
১২নং ওয়ার্ডের তৃণমুল কাউন্সিলর বিভূতি ঘোষ জানান, আদালতের নির্দেশে তৃণমূলের দলীয় কার্য্যালয় ভাঙা হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশকে আগে সাবমিট করতে হত ক্লাব ও তৃণমুলের কার্যালয় কতৃপক্ষকে। প্রশাসন একটু চালাকি করেছে। আজ হঠাৎ করে এসে ঘর ভেঙে দিয়েছে।যাতে তৃণমুল বা ক্লাব কোন কিছু না করতে পারে। আর যে সই করেছে তা জাল হতে পারে। তবে যারা করেছে ওর্ডার কপিতে কি আছে তা দেখে নিশ্চয় আইনী ব্যবস্থা হবে।
দক্ষিন মালদহ জেলা বিজেপির সাধারন সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, "সরকারি জায়গায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ক্লাব ঘর সেটা জেলা প্রশাসন ভেঙেছে তাতে শাসক দলের নেতার অসুবিধা হচ্ছে। তাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি বলেছেন সরকারি জায়গায় কোন ইনক্লোজমেন্ট চলবে না।সেই অনুযায়ী মালদার আধিকারিক কাজটা করেছেন সঠিক ভাবেই করেছে না। তারপরেও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বরা কিভাবে এর বিরুদ্ধে কথা বলেন সেটাই আমরা আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি। পার্টিটা কার কন্ট্রোলে চলছে সেটা বোঝাই মুশকিল হয়ে গেছে"।