TMC Martyrs Day 2021: রাজ্যের বাইরে একাধিক জায়গায় তৃণমূল নেত্রীর ভার্চুয়ালি ভাষণ প্রচারের ব্যবস্থা করেছিল শাসক দল। কিন্তু ত্রিপুরায় এই আয়োজনে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে ঘাসফুল শিবির। ত্রিপুরা তৃণমূল সূত্রে ট্যুইটে অভিযোগ, ‘ত্রিপুরায় শহিদ দিবসে ভার্চুয়াল বার্তা শোনার জন্য জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে তৃণমূল সমর্থক জমায়েত হন। ত্রিপুরা পুলিশ ১০০ জন সমর্থককে গ্রেপ্তার করল।‘ দেখুন সেই ট্যুইট:
এই ট্যুইট বার্তার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে ট্যুইট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি। এই ধরণের ঘৃণ্য আচরণের সামনে আমরা মাথানত করব না। যাই আসুক, শহিদ দিবসে একটাই সঙ্কল্প, কোনওরকম দমনপীড়নের সামনে মাথানত করবে না তৃণমূল।‘ দেখুন সেই ট্যুইট:
এদিকে, ত্রিপুরার পাশাপাশি দিল্লি এবং আহমেদাবাদেও এই ভার্চুয়াল বক্তৃতা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেও বিরোধী শিবিরের নেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোন। এই অনুষ্ঠানে বিজেপি-বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী বলেছেন তৃণমূল নেত্রী?
তিনি বলেন, ‘সব নেতাদের বলছি ফ্রন্ট গঠন করুন। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। ভারত চায় দক্ষ প্রশাসন। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পারে একমাত্র জনগণ।‘ তিনি বলেছেন, একটা খেলা হয়েছে আরও খেলা হবে। বিজেপিকে হঠাতে রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে।
এভাবেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এজেন্সি লাগিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করছে বিজেপি।যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট করছে বিজেপি। এমন অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে পেগাসাস-কাণ্ডে তদন্ত চেয়ে সিট গঠনের আর্জি জানান মমতা। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করুক মাননীয় শীর্ষ আদালত। এই আবেদন করেন তৃণমূল নেত্রী। বিচারব্যবস্থা পারে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে। এমনটাই জানান তিনি।
তাঁর মন্তব্য, ‘গণতন্ত্রের বদলে গোয়েন্দাগিরি চলছে।‘ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর খোঁচা, ‘মহব্বত (ভালবাসা) কাজ দিয়ে হয়, মন কি বাত করে নয়। মন কি বাত যদি কাজের হয়, তাহলেও ভালবাসা হয়।‘ পেগাসাস-পেগাসাস নরেন্দ্র মোদীর নাভিশ্বাস। এই স্লোগান তুলে তিনি বলেন, ‘পেগাসাস হটাও, স্পাই হটাও, দেশ বাঁচাও। এই নজরদারি-কাণ্ড হোয়াইটগেট কেলেঙ্কারির চেয়েও বড়। শরদ পাওয়ার, পি চিদম্বরমজি কাউকে ছাড়েনি।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন