কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ঘরে বিদ্রোহের আঁচ। জামাই ইয়াসির হায়দর যোগ দিলেন কংগ্রেসে। তিনি যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক পদে ছিলেন। কিন্তু, তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস গুরুত্ব দেয়নি অভিযোগ তুলে তিনি দল ছাড়লেন। শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন দলের প্রদেশ সভাপতি তথা লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী।
নতুন দলে যোগদানের পর সাংবাদিক বৈঠকে ইয়াসির ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, '২০১১ সালে দল আমাকে টিকিট দেয়নি। সেবছর মার্চেই আমি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারপর থেকে সক্রিয়ভাবে আর রাজনীতি করিনি। ফের জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি। অধীর চৌধুরীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে সুযোগ দিলেন। তাঁকে দেখে আমি বরাবরই অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাঁর অধীনে জাতীয় কংগ্রেসে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় আমি ধন্য।'
অবশ্য ফিরহাদ হাকিমের জামাইয়ের এই দলত্যাগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এই ব্যাপারে দলের তরফে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'এঁদের কেউ চেনে না। দলত্যাগ করার কোনও প্রভাব পড়বে না।' আর, ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'আমার মেয়ের সঙ্গে ওঁর পোষাচ্ছে না। ও একটা পরজীবী। ওঁর অনেক গল্প আছে।'
আরও পড়ুন- বড় ধাক্কা! খোদ মন্ত্রীর খাসতালুকে জোড়া পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল জোট
ফিরহাদের এই কথা বলার কারণ, তাঁর বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে জামাই ইয়াসিরের সম্পর্ক বেশ কিছুদিনই হল খারাপ। কয়েক বছর আগে ইয়াসির বিদেশে গিয়েছিলেন। সেই সময় এক অভিনেত্রী তাঁর সঙ্গী হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়, পারিবারিক অশান্তি বড় আকার নেয়। শুধু তাই নয়, ইয়াসির বেশ কয়েকবার বিদেশে গিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। এমনকী, ইয়াসিরের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছে। যা নিয়ে, ইয়াসিরের স্ত্রী প্রিয়দর্শিনীকে নোটিস পর্যন্ত ধরিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইয়াসির অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।